সেখ রিয়াজউদ্দিন, বীরভূম: শিক্ষক দিবসকে স্মরণীয় করে তুলতে বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং চন্দ্রপুর থানার ওসি কস্তুরী চ্যাটার্জী মুখার্জীর ব্যবস্থাপনায় পথ চলা শুরু হয় রং পেন্সিলের পাঠশালা। শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সর্বত্র যখন শিক্ষক পড়ুয়াদের মধ্যে পুষ্পস্তবক, উপহার সামগ্রী দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ তখনই নতুন ভাবনায় পথচলা শুরু করে এলাকার ৭৫ জন গরিব দুস্থ শিশুদের নিয়ে চন্দ্রপুর থানা চত্বরে । পাঠশালার নামকরণ রং পেন্সিল শুনে হয়তো মনে হতে পারে এখানে শুধু রং পেন্সিলের কাজ বা ছবি আঁকার জন্য পাঠশালা আদপে তা নয়G কিন্তু এখানে থাকছে শিশুদের জন্য আনন্দদায়ক শিক্ষার ব্যবস্থাG যেমন.. আবৃত্তি,নাচ,গান,ছবি আঁকা,নাটক সহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষামূলক কর্মসূচি।স্থানীয় থানার অন্যান্য পুলিশ, সিভিক কর্মীগন ও রুটিন মাফিক পাঠশালায় ক্লাস পরিচালনা হবে বলে সকলেই উৎসাহ ব্যাক্ত করেন।
তাঁতিপাড়া জাগরণ নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ও দুজন কর্মী উক্ত পাঠশালায় পড়ানোর ভূমিকা পালন করবেন বলে জানান সংস্থার কর্নধার সোমনাথ দে। চন্দ্রপুর থানার ওসির এই ধরনের সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন।করোনা আবহে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুরা একপ্রকার ঘরমুখি হয়ে বসেছিল। কিন্তু এদিন নতুন স্বাদের স্কুলে উপস্থিত হয়ে এবং অন্যান্য বন্ধুদের কাছে পেয়ে শিশুদের কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠে পাঠশালা চত্বর। প্রথম দিনেই শিক্ষকের ভূমিকায় চন্দ্রপুর থানার ওসি কে কাছে পেয়ে শিশুরা মাতৃস্নেহে গড়গড় করে বলতে থাকে একেরপর এক কবিতা, আবৃত্তি পাঠের আসর, অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে জমজমাট।
উল্লেখ্য. চন্দ্রপুর থানার ওসি কস্তুরী মুখার্জী চ্যাটার্জী শান্তিনিকেতন থানায় থাকাকালীন ও অনুরূপ পাঠশালার সূচনা করেন।যাহা পুলিশ মহল সহ বিভিন্ন স্তরে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন তার নতুনত্ব ভাবনা ও বিনা খরচে দুস্থ শিশুদের নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct