আপনজন ডেস্ক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চেহরা ও চুলে নতুনত্ব নিয়ে আসে হেয়ার কালার। কিন্তু এই হেয়ার কালারের জন্য চুল তার প্রাণ হারিয়ে বসে। হেয়ার কালারে যেসব রাসায়নিক পদার্থ থাকে তা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ট্রিকোলজিতে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে,চুলের রঙ বিষাক্ত রাসায়নিক, ক্ষারীয় পিএইচ স্তর,সালফেট দ্বারা পূর্ণ। এসব উপাদানের কারণে চুল নিস্তেজ হয়ে যায়, উজ্জ্বলতা হারায় এবং চুল ভেঙ্গে যায়। চুলের পুষ্টির জন্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে আপনি হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। কারণ প্রাকৃতিক উপাদানের রাসায়নিক উপাদানের মত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সেক্ষেত্রে কালার করা চুলের জন্য অ্যাভোকাডো আর ডিম হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান। এতে করে চুল ঝলমলে হয় উঠবে অর্থাৎ প্রাণ ফিরে পাবে। ডিমে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলেরপাশাপাশি সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, লেসিথিন এবং ফসফরাস রয়েছে। এই উপাদানগুলো চুলের বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং চুলকে মসৃণ করে। ডিম চুলের ফলিকল এবং চুলের গোড়া শক্ত হতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডোতে ভিটামিন ই, কে এবং সি, পটাশিয়াম, প্রোটিন, ওলিক অ্যাসিড এবং ফোলেট রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। এই ফল ব্যবহার আপনার চুল মসৃণ, চকচকে, শক্তিশালী করে তুলবে। চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে অ্যাভোকাডো। ক্ষতিগ্রস্ত চুলে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct