অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট: ভ্যাকসিন না পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে টোকেন সংগ্রহ করার পর রবিবার সকালে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এলাকার বহু মানুষ করোনার টিকা নিতে আসেন। অভিযোগ দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে জানানো হয় আজ তাদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। এরপরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন লাইনে দাঁড়ানো টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষেরা। ঘটনায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার, বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মন।সেখানেই বাদ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আইসি ও পুরপ্রধান। বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার ,বুনিয়াদপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের বক্তব্য কে বিরোধী দলের নেতার সাথে তুলনা করেন।যেখানে তারা চেষ্টা করছেন পরিস্থিতি সামাল দিতে, সেখানে পুরো প্রধান বিরোধী দলনেতার মত আচরণ করছেন বলে অভিমত তার।এদিকে দীর্ঘক্ষন ধরে অবরোধের জেরে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।যদিও পরবর্তীতে আইসি এবং পৌর প্রধানের আশ্বাসে উঠে যায় অবরোধ। স্বাভাবিক হয়ে যান চলাচল।
জানা গিয়েছে, সপ্তাহে একদিন ছুটি চেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা প্রদান কর্মসূচি থেকে অব্যাহতি চান। ফলে স্বভাবতই এদিন টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা যায়নি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।এদিকে বিষয়টি ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরে তরফ থেকে দুপুর ১টা নাগাদ লাইনে দাঁড়ানো সাধারণ মানুষকে জানানো হয় ভ্যাকসিন না দেবার বিষয়ে। আর সেখানেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষ।৫১২ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা।
অন্যদিকে ,এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মন, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডল, বংশীহারী ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পুলকের সাহা জরুরি বৈঠকে বসেন।এবং লাইনে দাঁড়ানো সাধারণ মানুষদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।পরবর্তীতে প্রায় ৪০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলেই ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন না পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধের ,পাশাপাশি হাতাহাতি সহ চরম বিশৃঙ্খলা চিত্র ধরা পড়ল বুনিয়াদপুর।
এবিষয়ে বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মন জানান, সারা রাত্রি ব্যাপি লোক স্লিপ নিয়েছে। স্লিপ নেবার পর তারা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছে। বারোটার পর তাদের বলা হয় আজকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। স্বাভাবিক ভাবে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত। সাধারণ মানুষ বলছেন কেন এমনটা হবে। ভ্যাকসিন না দেওয়া হলে কেন তাদের আগে জানানো হয়নি। তাহলে এই হয়রানির জন্য দায়ী কে হবে? সভাপতি বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন পুরো প্রধান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct