আপনজন ডেস্ক: শরীরের বিভিন্ন স্থানে অনেক সময় নানা কারণে ব্যথা হয়। ব্যথা কমাতে অনেকেই সেঁক দেন। আগে সব ধরনের ব্যথাতেই গরম সেঁক দেয়া হত। কিন্তু এখন চিকিৎসকরা দু’ধরনের সেঁকের কথা বলেন, গরম এবং ঠান্ডা। কিন্তু কোন ব্যথায় কোন ধরনের সেঁক কাজে দেয় সেটা অনেকের জানা নেই।
গরম সেঁক
সাধারণত শুকনো তোয়ালে গরম করে সেঁক দেয়া হয়। তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়েও সেঁক দেয়া হয়। রাবারের ব্যাগে গরম জল ভরে বা গরম সেঁকের প্যাড ব্যবহার করেও অনেকে সেঁক দেন। গরম সেঁকের আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন-
১. গরম সেঁকে আঘাত পাওয়া অংশে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে। তাতে ব্যথা দ্রুত কমে।
২. মূলত হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা বা পেশিতে টান ধরার ব্যথায় এটি খুব কার্যকর।
৩. ব্যথা পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গরম সেঁক না দেয়াই ভালো।
৪. গরম সেঁক দেয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেয়া উচিত।
ঠান্ডা সেঁক
বরফ জল তোয়ালে ভিজিয়ে সেটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ঠান্ডা সেঁক দেয়া হয়। রাবারের ব্যাগে বরফ এবং জল ভরেও ঠান্ডা সেঁক দেন অনেকে। এটির দেয়ার যেসব বিষয় মনে রাখা জরুরি-
১. আক্রান্ত অংশটি অসাড় করে দেয় ঠান্ডা সেঁক। তাতেই ব্যথা কমে। অনেকের ধারণা, ঠান্ডা সেঁক দিলে জ্বর আসতে পারে। সেটি মোটেই ঠিক নয়।
২. ফোলা বা প্রদাহ কমাতে ঠান্ডা সেঁক দেয়া হয়।
৩. রক্তপাত বন্ধ করতে পারে সাহায্য করে ঠান্ডা সেঁক।
৪. গরম সেঁকের তুলনায় এটি নিরাপদ। তবু চিকিৎসকের পরামর্শেই ঠান্ডা সেঁক দেয়া উচিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct