নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: বাবার পেশাকে আগলে রাখতে চাই মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র আবু তালেব। লক্ষ্যে স্থির আবু।শুরু করেছে একাদশ শ্রেণির পড়াশোনা।বাবার মতো ভবিষ্যতে একজন চিকিৎসক হতে চায় সে।
এবছর মাধ্যমিকে ৭০০ মধ্যে ৬৭৯ নম্বর পেয়ে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে সে।পরিবার,আত্মীয় স্বজন ও শিক্ষক শিক্ষিকারা তার চূড়ান্ত সাফল্যে খুশি হলেও আবু তালেব মোটেই খুশি নয়।আবু তালেব পরিক্ষা দিয়ে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তার মেধাশক্তিকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু করোনা মহামারিতে পরিক্ষা বাতিল হওয়ায় হল না তার ইচ্ছে পূরণ।
জানা যায় আবু তালেব হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীহাটা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র।বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের বাংরুয়া গ্রামে।আগাগোড়া থেকেই সে মেধা ছাত্র হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল।পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কখনো প্রথম বা কখনো দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রেখেছিল। বাবা আবুল কাসেম একজন স্কুল শিক্ষক ও চিকিৎসক।মা গৃহকর্ত্রী।
আবু তালেবের প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৯। সে বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯৭, অঙ্কে ৯৫, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯৬ ও ভূগোলে ৯৮ নম্বর পেয়েছে।
আবু তালেবের বাবা আবুল কাসেম জানান তার চার ছেলে ও এক মেয়ে।আবু তালেব ছোট।সে পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো ছাত্র।শুধু পড়াশুনা নয়, নাটক,গল্পের বই পড়তে এবং খেলা দেখতেও ভালোবাসে সে।তার ইচ্ছে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার।ওই ফলাফলের পুরোটাই ওর কৃতিত্ব।ওকে পড়াশোনার জন্য বলতেই হতো না।যেটুকু করার ওর মা করেছে।ও কিন্তু এটাই প্রমাণ করল,নিজের চেষ্টা থাকলে কেউ আটকাতে পারবে না।আমরা চাই,ও ডাক্তার হোক। কিন্তু ওর যা ইচ্ছে ও তাই করবে। আমরা আটকাবো না।পশ্চিমবঙ্গে একটা ভালো স্থান অধিকার করবে বলে আশা ছিল।তাই প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ৯ ঘন্টা পড়াশোনা করত। রাত দিন চোখের পাতা এক করে পড়াশোনা করত। কখনো পড়াশোনার চাপে খাওয়া পর্যন্ত ভুলে যেত সে।
আবু তালেব বলে,আগে উচ্চ মাধ্যমিকটা দিই। তারপরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। আমি আর্ট করতে ও খেলা দেখতেও ভালোবাসি। সঙ্গে পড়াশোনাটাও করেছি।
প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্র নাথ পাল জানান তার ফালফলে স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা খুব খুশি। সে খুব ভালো ছেলে এবং সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct