আপনজন ডেস্ক: ব্যর্থতার সাগরে হাবুডুবু খেয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি। অনেকেই ইতালির ফুটবলের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। সেই ইতালিকে বদলে দিয়েছেন রবার্তো মানচিনি। টানা ৩৩ ম্যাচ ধরে অপরাজিত মানচিনির হাতে গড়া ইতালি দল। ইউরোর ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ইতালিকে হেলা করার উপায় নেই। ইংলিশদের বিপক্ষে মানচিনিকে সহায়তা করতে পারেন তাঁরই স্বদেশি আন্তোনিও কন্তে। ২০১৬ সালে কন্তের অধীনেই ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল ইতালি। এরপর চেলসির দায়িত্ব নেন কন্তে। চেলসিকে জিতিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের শিরোপা। ইংল্যান্ডে কোচিং করানোর সুবাদে সেখানকার ফুটবলারদের সম্পর্কে ভালোই জানা আছে কন্তের। তাঁর অধীনে চেলসিতে খেলা অনেকেই খেলছেন বর্তমান ইংল্যান্ড দলে। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের শক্তি ও দুর্বলতাগুলো ভালো জানা সাবেক ইন্টার মিলান কোচের। কন্তের হাত ধরেই ১১ বছর পর ইতালিয়ান লিগের শিরোপা জিতেছে ইন্টার। কন্তে মনে করেন সেমিফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে যে পরীক্ষা দিয়ে এসেছে ইতালি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এর চেয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে আজ্জুরিদের। গ্যাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তে লেখা কলামে কন্তে উল্লেখ করেছেন, ‘স্পেনের ভাবনায় থাকে পেছনে পাস দেবে। ইংল্যান্ড সব সময় ওয়ান টু ওয়ান আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করবে। ড্রিবলিং করবে, বল নিয়ে ভেতরে ঢুকবে ও ওভারলেপিংয়ে যাবে। আক্রমণভাগে শুধু (রাহিম) স্টার্লিং নয়, (বুকায়ো) সাকা, (ফিল) ফোডেন, (জাডোন) সাঞ্চো, (জ্যাক) গ্রিলিশও আছে।’
ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগের বড় ভরসার নাম দলটির অধিনায়ক হ্যারি কেইন। কন্তে লিখেছেন, ‘কেইনের বল দখলে রাখা ও দলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের যোগ্যতার প্রশংসা অনেকেই করে। ডেনমার্কের বিপক্ষে যেভাবে সমতা ফিরিয়েছে, সেটাতেই তো দেখা গেছে। সে এতে খুব দক্ষ। কিন্তু পেনাল্টি বক্সেই সে সবচেয়ে ভালো, একজন স্নাইপার। একজন কোচ হিসেবে তাঁকে সব সময় রাখব আমি, কারণ সে যেকোনো সময় ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct