আপনজন ডেস্ক: ভারতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাল্যবিবাহ। সম্প্রতি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ায় পিতৃহীন এক নাবালিকার বিয়ে থামিয়েছে প্রশাসন। মেয়েটি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটাতেও দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করেছে প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দিনাজপুর, নদিয়ার মতো কয়েকটি জেলায় নাবালিকার বিয়ের নজির আগেও মিলত। অতিমারি-পরিস্থিতি দেখাচ্ছে, এই প্রবণতা অন্যত্রও কম নয়। পূর্ব বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুরের নামও বারবার উঠে আসছে। আগাম খবর এলে পুলিশ, প্রশাসন, চাইল্ড লাইনের উদ্যোগে বিয়ে বন্ধ হচ্ছে। এর বাইরেও বহু মেয়ের বিয়ে হচ্ছে কিশোরীবেলাতেই। রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের বিশেষ উপদেষ্টা সুদেষ্ণা রায় বলেন, ‘কমিশনের বিভিন্ন হেল্পলাইনে দুই-একটি অভিযোগ আসতেই থাকে।’ রাজ্যজুড়ে টানা বন্ধ স্কুল। বন্ধ স্কুলের ‘কন্যাশ্রী ক্লাব’। ফলে, বহু ক্ষেত্রেই নাবালিকা বিয়ের খবর আগাম পৌঁছাচ্ছে না প্রশাসনে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে গাড়ি থেকে নাবালিকা নববধূকে আটক করেছিল পুলিশ। চাইল্ডলাইনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর বিশ্বনাথ সামন্তের অভিজ্ঞতা, ‘বিয়ের ধরন পাল্টেছে। তাই আমাদের কাছে সব খবর আসছে না। হঠাৎ করে পাত্রী দেখতে এসে সে দিনই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। মন্দিরে বিয়ে হচ্ছে। এমনকি, তুলসীতলায় পুরোহিত এনে বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct