নাজিম আক্তার, চাঁচল: বৃহস্পতিবার মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গালিমপুর এলাকায় বেহাল বাঁধ পরিদর্শনে যান মহানন্দা এমব্যাংকমেন্টের নির্বাহী বাস্তুকার বদিরুদ্দিন শেখ। সঙ্গে ছিলেন চাঁচলের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল, চাঁচল-১ বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য,জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় দফতরের কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমিতেশ পান্ডে প্রমুখ। এদিকে এদিন চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষও বাঁধ পরিদর্শনে যান। কথা বলেন এলাকাবাসীর সঙ্গে, পাশাপাশি খুব তাড়াতাড়ি বাঁধ সংস্কারে আশ্বাসবাণী শোনান বিধায়ক এবং প্রশাসনিক কর্তারা।
পরিদর্শনে গিয়েই বর্তমান তৃণমূলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ তোপ দাগলেন চাঁচলের প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেসের আসিফ মেহবুবকে। তার অভিযোগ, জনগণ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিল কিন্তু কোনো কাজ করেনি। তাই আজ পরিদর্শনে আসা।এমনটাই কটাক্ষ করেন বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। এলাকার মানুষের ভরসা জোগাতে নয়, কাজ করার লক্ষ্যে আজকের পরিদর্শন বলে দাবি করলেন নীহার।
যদিও এলাকায় বহু কাজ কংগ্রেসই করেছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক আসিফ মেহবুব। চাঁচলের মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, সেচ দপ্তরের আধিকারিক বাঁধের অবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। সেই মতো করে রিপোর্ট এলেই নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্কবার্তা দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানন্দা সেচ দফতরের আধিকারিক বদরুদ্দিন সেখ জানান, গত ২০১২ সালে নদী সংলগ্ন গালিমপুরে আঠারো শো মিটারের বোল্ডার দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। আপাতত সেগুলো কিছুটা ধ্বসে পড়ছে। সেগুলোর সমস্ত রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ভাঙন রোধে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে পরিদর্শনে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় দফতরের কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন।
উল্লেখ্য, অতি ভারী বর্ষণের জেরে উত্তরের সমস্ত নদী গুলি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। জলস্তর বেড়েছে মহানন্দারও। মহানন্দার জলস্তর বাড়ার সাথে সাথে নদী বাঁধে ফাটল। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। এই খবরে সংবাদমাধ্যমে সম্প্রসারিত করা হয়। খবর সম্প্রচারিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাঁধ পরিদর্শনে যান প্রশাসনিক কর্তা জনপ্রতিনিধিরা। কথা বলেন এলাকার মানুষের সঙ্গে। খুব তাড়াতাড়ি বাঁধ সংস্কার করা হবে বলে এলাকার আতঙ্কিত মানুষদের আশ্বাসবাণী শোনান বিধায়ক এবং প্রশাসনিক কর্তারা।
পরিদর্শনে ঢল পড়লো জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের। তবে আদৌ কি বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে?এখন সেই উত্তর চোখে দেখার অপেক্ষায় নদী তীরবর্তী গালিমপুরের বাসিন্দারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct