জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া: নেটওয়ার্কের খারার অবস্থার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের অনলাইন পড়াশোনা চলে গেছে বিশবাঁও জলে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী স্বয়ং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য অনলাইন ক্লাস করার সুবিধার্থে অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার জন্য প্রত্যেককে ছাত্র ছাত্রীদের একাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। বাস্তবে ফোন কেনা তো হয়েছে তাদের! কিন্তু নেটওয়ার্ক কোথায় ? জানা যায় কোথাও গাছে ওঠে তো আবার কোথাও উঁচু জায়গাতে চড়ে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। এমনও অনেক গ্রাম রয়েছে গোটা পুরুলিয়া জেলা জুড়ে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শহরাঞ্চলের পড়ুয়াদের থেকে পিছিয়ে পড়ছেন গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়ারা। আশঙ্কায় দুলছে তাদের ভাগ্য। পুরুলিয়ার ঝালদা থানার পাতরাডি গ্রামের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র তুষার মাহাত, দীপঙ্কর মাহাতরা জানান আমাদের এই সকল প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোতে এমনিতেই নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে ভীষণ তারপর অনলাইনে পড়াশুনা করা চরম কষ্টকর হয়ে ওঠে যদিও এবছর অতিমারী করোনার কারণে পরীক্ষা আর হচ্ছে না। ঝালদার পাড়রি গ্রামের কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী জানান আমাদের গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরেই নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় অন্যত্রে গিয়ে কাউকে ফোন করতে হয় অনলাইন ক্লাস করবো কি ভাবে ? এবিষয়ে কুটিডি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক অরূপ গোপ মন্ডল বলেন ,মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা না হওয়ায় ছাত্র ছাত্রী অভিভাবক অভিভাবিকা শিক্ষক শিক্ষিকারা দিশাহীন। ভবিষ্যতে তাদের মাপকাঠি কী হবে তা নিয়ে আমি শিক্ষক হিসেবে খুবই চিন্তিত। মুড়ি মুড়কির দাম এক হয়ে যাবে পরীক্ষা না হওয়াই। বিশেষ করে পরিশ্রমী ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা আঁধার দেখছে চোখে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে হলেও যদি পরীক্ষাটা নেওয়া হতো তাহলে তাদের ভব্যিষত নির্ধারনে কিছুটা হলেও সুবিধা মিলতো। তবে একথা সত্য যে বহু প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্র ছাত্রীরা মোবাইল পেলেও রিচার্জের পয়সা না থাকায় ও নেটওয়ার্কের চরম সমস্যা থাকায় অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা।এখন প্রশ্ন হল এত ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ কিভাবে নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে। কিভাবেই বা হবে তারা কলেজে ভর্তি? এখন বড় প্রশ্ন হয়ে ঝুলছে সকলের কাছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct