ডক্টর কাজী মিরাজুল হক
ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড স্কুল অফ
মেডিসিন (আমেরিকা) এর ফিজিওলজি বিভাগ এর একজন বিশিষ্ট গবেষক এবং
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া) এর প্রাক্তন বিজ্ঞানী
______________________________________________________________
সারা বিশ্বের কাছে এখন বড় সন্ত্রাসবাদী হলো করোনা ভাইরাস SARS-CoV-2 যার দারা সৃষ্ট নিউমোনিয়ার অভূতপূর্ব মহামারীটি বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। ৩০ শে মে ২০২১ এর হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বে ৩৫,৪৮,৪৯১ জন মানুষ মারা গেছেন আর ১৭০,৬১৮,২২২ জন মানুষ এই ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কাছে এর থেকেও বড় প্রশ্ন হলো কোথা থেকে এলো এই ভাইরাস?
সত্যিই সত্যিই এই ভাইরাস এর উৎসএর মধ্যে রহস্য ও বিতর্কের বাঁসা বেঁধেছে। এখানে বলে রাখা ভালো যে প্রাকৃতিক গত ভাবে সংক্রামিত প্রাণী থেকে এই ভাইরাস টি আমাদের দেহে আসার তত্ত্বটি যদিও ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে তবে এর যথেষ্ট সমর্থন বা জিনগত প্রমান নেই বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক গত ভাবে ভাইরাস টি আসার তত্ত্ব টির বিরুদ্ধে বিষাদগড় হয়েছিলেন একজন চীনা ভাইরাসবিদ লি-মেনগ ইয়ান সেপ্টেম্বরে একটি বিস্ফোরক গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন এবং দাবি করেছিল যে চীন গবেষণাগারে ইচ্ছাকৃত ভাবে জিনএর (জেনেটিক) হেরফেরের ঘটিয়ে একটি মারাত্মক SARS করোনভাইরাস তৈরি করেছে। অন্যান্য বিজ্ঞানীরা যদিও বলেছেন, চীন করোনভাইরাস তৈরির বিষয়ে দাবি বিভ্রান্তিকর। কিন্তু ব্রিটিশ অধ্যাপক অ্যাঙ্গাস ডালগাইশ এবং নরওয়েজিয়ান বিজ্ঞানী ডঃ বিগার সোরেনসেন দাবি করেছেন যে বেইজিং এর উহান প্রদেশের (যেখানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখাদিয়েছিলো) একটি ল্যাবরেটরিতে এই ভাইরাসটি জীনতত্ত্ব প্রকৌশলী (genetically engineered ) দ্বারা তৈরি হয়েছিল, এবং গোপন করার চেষ্টাও করা হয়েছিলো যেন এটি বাদুড় থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। চীন ধারাবাহিকভাবে পরীক্ষাগারের দুর্ঘটনা থেকে এই মরণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
যাইহোক চীনা ভাইরাসবিদ লি-মেনগ ইয়ান এর প্রকাশিত গবেষণার খবর টি বেশ ভালোমতো বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে কিন্তু বিজ্ঞানীরাও এই মরণ ভাইরাস এর উৎসর ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত। শীর্ষ মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অ্যান্টনি ফওসি সম্প্রতি বলেছেন যে ভাইরাসটি “স্বাভাবিকভাবেই প্রাদুর্ভাব হয়েছে” এই তত্ত্বের সাথে তিনি খুব বেশি বিশ্বাসী নন, যেটা পরীক্ষাগারের দুর্ঘটনা থেকে এই মরণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বর জল্পনাকে আরো উস্কে দিয়েছে।
যার ফল স্বরূপ আমেরিকার বর্তমান রাষ্ট্রপতি মি: জো বাইডেন তার জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা গোয়েন্দা সম্প্রদায়কে COVID-19-এর উত্স সম্পর্কে তাদের প্রচেষ্টা কে দ্বিগুন করে ৯০ দিনের মধ্যে এই ভাইরাস কোথা থেকে এলো তার তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছে দিতে পারে যে এই ভাইরাস টি প্রকৃতগত কারণে মানুষের দেহে সংক্রামিত প্রাণী থেকে উদ্ভূত হয়েছিল নাকি পরীক্ষাগার দুর্ঘটনা থেকে ছড়িয়েছিলো তার উপদেশ দিয়েছেন । আমেরিকার রাষ্ট্রপতি তিনি তার ২৬ এ মে ২০২১ এর বিবৃতে আরো বলেছেন যে চীনকে পূর্ণ, স্বচ্ছ, প্রমাণ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক তদন্তে অংশ নিতে এবং সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য এবং প্রমাণের সরবরাহ করার জন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাপী সম-মনের অংশীদারদের সাথে কাজ করতে। এটা পরিষ্কার যে বিশ্বের ক্ষমতাশালী নেতারাও বিজ্ঞানীদের সাথে যোগ দিয়ে এখন বেশ উঠে পরে লেগেছেন এই মরণ ভাইরাস এর উৎস জানতে। করোনা ভাইরাস এর চীনের উৎস এর জটিলতা এখন কিছুটা হলেও রাজনৈতিকভাবে উদবুদ্ধ তবে কোরোনার উৎস কোথাথেকে তার সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন হয়তো ভবিষৎ এ এধরনের মহামারীর হাত থেকে মানব সভ্যতাকে বাঁচাবে।
চীনের উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির(ছবিতে) দিকে সন্দেহের আঙ্গুল - কিন্তু কেন?
গত বছর আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের দিকে প্রথম সন্দেহর আঙ্গুল তুলেছিলেন এবং চীনের উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির পরীক্ষাগারের দুর্ঘটনা থেকে এই মরণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বকে প্রচার করেছিলেন এবং চীন এই রোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে স্বচ্ছ নয় বলেও অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু কেনই বা তিনি এই অভিযোগ করে বসলেন আর তার পিছনে ভিত্তিই বা কি ছিল। অনেকে মনে করেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকা তে কোরোনার সংক্রমণ টেকানোর ব্যার্থতা কে ঢাকতে তিনি ওই বিব্ভ্রান্তিকর প্রচার চালিয়েছিলেন। আমেরিকার প্রশাসক মহল (ডোনাল্ড ট্রাম্প এর জামানায়) চীনের বিখ্যাত ভাইরাস গবেষণার ইনস্টিটিউট, উওহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি এর ক্রিয়াকলাপ এর একটা বিবরণ (ফ্যাক্ট শিট ) থেকে তিনটে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জানতে পেরেছিলো:
(১) ২০১৯ সালের শরৎ কালে অর্থাৎ ঠিক করোনা ভাইরাস এর প্রথম প্রাদুর্ভাব এর আগে ওই ইনস্টিটিউট এর বেশ কিছু গবেষক অসুস্থ হয়ে পড়েন যাদের লক্ষণগুলি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এর লক্ষণ গুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল।
(২) চীন এবং অন্যান্য জায়গায় আগেও গবেষণাগারে দুর্ঘটনাজনিত সংক্রমণের কারণে বেশ কয়েকটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, যেমন ২০০৪ সালে বেইজিংয়ে সারস রোগের প্রাদুর্ভাবের ফলে নয় জন আক্রান্ত হয়েছিল, একজন মারা গিয়েছিল।
(৩) তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উওহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির যে গবেষকরা ২০১৯ সালের শরৎ কালে অসুস্থ হয়েছিলেন তাদের কে বিশ্বের সংবাদমাধ্যম ও বিশ্বের স্বাস্থ্য প্রশাসকদের কে সাক্ষাৎকার থেকে বিরত রাখা হয়েছে যে গুলো থেকে পরীক্ষাগারের দুর্ঘটনা থেকে এই মরণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বর সন্দেহ কে আরো জোরালো করেছে। কিন্তু ওই তিনটি তথ্যের কোনোটিই প্রমান করেনা যে করোনা ভাইরাস COVID-১৯ চিনার ওই গবেষণাগার থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।
চীনের উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিকে দোষারোপ করার ভিত্তিই বা কি?
উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি হলো গোটা বিশ্বের কাছে এক অনন্যতম এবং অত্যাধুনিক ভাইরাসর ওপর গবেষণা করার জায়গা এবং এই ইনস্টিটিউটের গবেষকরা হলো পৃথিবী বিখ্যাত যারা আনকেদিন ধরেই অন্যান্য করোনা ভাইরাস এর ওপর গবেষণা করে আসছে। যেমন উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বিশ্ব বিখ্যাত চিনা বিজ্ঞানী ড্: জহেঙ -লি সি (ছবিতে দেখানো হয়েছে) ২০০৮ সালে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মানুষ এবং বাদুড়ের করোনা ভাইরাসের রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেইন (RBD) এর মধ্যে বিনিময় সাফল্যের সঙ্গে দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন। আরো জানা যায় যে উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি গেইন-অফ-ফাঙ্কশন(Gain-in-Function) প্রজেক্ট এবং আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার চ্যাপেল হিল বিশ্ববিদ্যালয় এর সহোযগিতায় সার্স করোনা ভাইরাসের (SARS CoV এর) মধ্যে পরিবর্তন ঘটিয়ে এই সার্স ভাইরাস (SARS CoV-2 কিন্তু নয়) কে মানুষের সংক্রমণ সক্ষম করে তুলতে পেরেছিলেন। এখানকার গবেষকরা কৃতিম উপায়ে বেশ কিছু অতিসংক্রমণকারী ভাইরাস(Chaimeric ভাইরাস) ও তৈরী করেছিলেন গবেষণার জন্য। যেমন ২০১৬ সালে উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বিজ্ঞানীরা প্রথম RaTG13 নামক সার্স ভাইরাস বাদুড় এর দেহ থেকে নিয়ে প্রথম কিছু গবেষণা করেছিলেন আর এই RaTG13 ভাইরাসটির সঙ্গে বর্তমান মহামারীর জন্যে দায়ী সার্স CoV-২ করোনা ভাইরাস এর জিনগত (বংশগত ভাবে) প্রায় ৯৩% মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। নরওয়েজিয়ান বিজ্ঞানী ডঃ বিগার সোরেনসেন দাবি করেছেন যে উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা ২০১৭ সালে শুয়োরের ওপর এই কৃতিম ভাইরাসের সক্রমণ ঘটিয়েছিল যার ফলস্বরুপ চীনের গুয়াংডং প্রদেশে প্রায় ২৫০০০ শুয়োরের মৃর্তু হয় এবং এই মৃর্তুর কারণ স্বরূপ রোগের নাম দিয়েছিলো SADS-CoV। ডঃ বিগার সোরেনসেন যুক্তি এখানেই যে বর্তমান মহামারীর জন্যে দায়ী SARS CoV-2 প্রতক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কিছু জিনগত চারিত্রীক বৈশিষ্ট SADS-CoV থেকে পেয়েছিলো আর SARS CoV-2 এর জিনগত পরিকাঠামো টি হচ্ছে বাদুরথেকে পাওয়া RaTG13 নামক সার্স ভাইরাসর যেটি মানুষের রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেইন (RBD) বহন করে এবং মানুষের মধ্যে আরো বেশি ভাবে সংক্রমণ করতে সাহায্য করে। সুতরাং উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে এবং ওখানকার গবেষকদের SARS- CoV ভাইরাস নিয়ে কাজকরার অভিজ্ঞতা ও ইতিহাস আছে, এবং একটা সম্ভাবনা থেকেই যাই যে হয়তো বর্তমান মহামারীর জন্যে দায়ী SARS CoV-2 ইনফেকশন এখান থেকেই ছড়িয়ে ছিলো কিন্তু এই দাবির সত্যতা কোনোভাবেই এখনো প্রতিষ্টিত হয় নি, এমনকি বিশ্ব সাস্থ সংস্থা (WHO) গবেষকরা তাদের খুব সম্প্রতি উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে তদন্তের জন্যে গিয়ে ছিলেন এবং বলেছেন যে এটা বলা অত্যন্ত অসম্ভব (“extremely unlikely “) যে SARS CoV-2 উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে ছড়িয়েছিল। WHO এর ওই তদন্তকারী দলে ডাচ ভাইরাসবিদ ড্: মারিওন কূপমন ছিলেন যারা 2021 সালের প্রথম দিকে তদন্তের দুই সপ্তাহের মধ্যে SARS CoV-2 মহামারীর প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবের প্রতিটি পদক্ষেপ পুনর্গঠন করেছে যেমন ভাবে করা হয় কোনো আন্তহত্যার ঘটনা ঘটলে। WHO এই তদন্তকারীরা আরো বলেছেন যে তারা উওহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির তিনটে গবেষণাগারে গেছেন যেখানে SARS CoV-2 ওপর গবেষণা হয়ে থাকে এবং তারা এই গবেষণাগারগুলো থেকে SARS CoV-2 ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য লিঙ্ক এখনো পর্যন্ত খুঁজে পাননি। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে গবেষণাগারে দুর্ঘটনাজনিত (ল্যাব-লিক তত্ত্বের) সংক্রমণের কারণে SARS CoV-2 ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে সেটার সমর্থনে প্রমান খুবই কম তবে অন্যান্য তত্ত্বের সম্ভাবনা রয়েছে। আমেরিকার কিছু নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়এর কিছু বিজ্ঞানী যেমন ক্রিস্টিয়ান আন্ডারসেন, অ্যান্ড্রু রামবাউট, ইয়ান লাম্পকিন , এডওয়ার্ড সি হল্মেস, এবং রবার্ট গ্যারি রা মনে করেন যে বর্তমান মহামারীর জন্য দায়ী SARS CoV-2 কে গবেষণাগারে জিনগত হেরফের ঘটিয়ে তৈরী করা হয়নি। এই বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে মানুষের দেহে করোনা সংক্রমণ ঘটার আগে SARS CoV-2(COVID- 19) বাদুড়এর দেহ থেকে খুবসম্ভবতো চীনের উওহান প্রদেশের হুনান শহরের এর মাংসের বাজার থেকে মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল এবং প্রাকৃতিক নির্বাচন এর মাধ্যমে মানুষের দেহে তাদের বাঁসা বাঁধতে সাহায্য করছে। সুতরং পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত এবং প্রকৃত সত্য কে উদ্ঘাটন, বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই প্রাকৃতিক এবং পরীক্ষাগার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার দিকে তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে আমার মনে হয় কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে উদবুদ্ধ না হয়ে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবএর প্রমান করতে পারলে আমাদের মানবসভ্যতা ভবিষৎএর মহামারীর থেকে রক্ষা পাবে। আমার মনে হয় পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য বিব্ভ্রান্তিকর তত্ত্বর থেকে সঠিক তত্ত্বকে প্রতিষ্টিত করবে ও ভবিষতের মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মানুষের মৃর্তু ও ভোগান্তিকে রক্ষা করবে ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct