জুলফিকার মোল্যা, মিনাখাঁ: পেটে নেই ভাত, দাওয়া ভাসে চোখ ভাসে! বিদ্যাধরীর জলে ভাসাভাসির সাগরে মিনাখাঁর মালঞ্চ, বামনপুকুরের বিস্তৃর্ণ এলাকা, জলবন্দি জীবনের টুকরো টুকরো ছবি ধরা পড়েছে। যেদিকে দু’চোখ যায় শুধু জল আর জল। গ্রামের আলপথ চেনা পুকুরটাও চেনার উপায় নেই! সবই যে জলের তলায়। মিনাখাঁর বিভিন্ন এলাকায় আজ শুধু জল যন্ত্রণা। মঙ্গলবার থেকে জোয়ারের জলে ফুলে ফেঁপে ওঠে বিদ্যাধরী নদী। বৃষ্টি নামতেই মাটির বাঁধ উপচে জল ঢুকে পড়ে গ্রামের ভিতরে বিভিন্ন মাটির বাড়িতে। একে একে ভেসে যায় ঘরের জিনিসপত্র।
আর সেই সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন মিনাখাঁর চৈতলের সামিউল আলিম যাকে সবাই একডাকে চেনেন সোনু ভাই নামে। করোনা থেকে আম্ফন একে একে সকল দূর্যোগে প্রন্তিক এলাকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সোনু ভাই। তবে আয়লা বুলবুল, আম্ফনে মিনাখাঁ চৈতল অঞ্চলের বিস্তৃর্ণ ভাসলেও এবারে ইয়াসের তান্ডবের আগে ঠিক সময় মত বাঁধ দেওয়ায় চৈতল অঞ্চল ইয়াসের লেজের ঝাঁপট থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানান মিনাখাঁ ব্লকের কার্যকরী সভাপতি তাজউদ্দিন মোল্যা। একইভাবে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন দুর্গত এলাকায়। ইয়াসের আগের থেকেই কন্ট্রোল রুম খুলে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে ঘটনাস্থলে নেমে পড়েন। তাই দুর্গতদের কাছে সোনু ভাই অন্যতম ভরসা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct