আব্দুস সামাদ মণ্ডল, ফুরফুরা: আপনজন: পশ্চিমবাংলায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ যেকোনও সময় ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তার আগে বিজেপি ও শাসক দল বিরোধ জোট প্রক্রিয়া জোরকদমে চরছে। মঙ্গলবার প্রধান দুই বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মুজাফফর আহমদ ভবনে। এর আগে কংগ্রেস ও বামেরা জানিয়েছিল ১৯৩টি আসনে আসন রফা চূড়ান্ত। মূলত বাকি ১০১টি আসন নিয়েই ছিল এদিন বৈঠক। আর ফুরফুরার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ, এনসিপির-র মতো দলগুলির সঙ্গে কীভাবে আসন রফা করা হবে তা চূড়ান্ত করাই ছিল এদিনের বৈঠকের লক্ষ্য।
এদিনের বৈঠকে অধীর-বিমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম নেপাল মাহাতো, ছিলেন। সূত্রের খবর এদিনের এই আসন রফা ও জোট নিয়ে বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন আব্বাস সিদ্দিকীর ভাই তথা আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি ও সভাপতি শিমুল সরেন।
আলিমুদ্দিনে বৈঠক শেষে অধীর চৌধুরি ও বিমান বসু দুজনেই জানান জোট সংক্রান্ত বিষয় ও আসন রফা চূড়ান্ত। তবে, কারা কত আসনে লড়ছেন তা তারা জানাননি। তবে, অধীর চৌধুরি জানান, ছোট ছোট দলকে জোটে শামিল করে তাদের জন্য আসন ছাড়া হবে। তাই এখনই কে কত আসনে লড়বে তা বলতে চাই না। অন্যদিকে বিমান বসু জানান, বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ একসঙ্গে লড়াইয়ের পক্ষে তিনি। তবে, জোটে আরজেডি, এনসিপি ও জেডি (এস)-র মতো দলও শামিল রয়েছে। কিন্তু আব্বাসের দলকে কত আসন ছাড়তে চায় বাম-কংগ্রেস তা তিনি খোলসা করে বলতে চাননি। এ ব্যাপারে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী মঙ্গলবার রাতে ফোনে ‘আপনজন’ সম্পাদককে জানান, জোট ও আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তবে সোমবার রাতে বিমান বসু ও মুহাম্মদ সেলিমের সঙ্গে আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা হয়েছে আসন সংক্রান্ত বিষয় নিয়েছে। বিমান বসু ও মুহাম্মদ সেলিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইএসএফ-কে আসন ছাড়ার বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার জন্য।
আব্বাস সিদ্দিকী আরও জানান, মোট ১৫০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও জোটের কাছে ৬০-৭০টা আসন দেওয়ার দাবি রাখা হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলেই বিমানবাবুরা চূড়ান্ত জানাবেন। ন্যূনতম কত আসন দিলে তবে জোটে রাজি হবেন জিজ্ঞেস করলে আব্বাস সিদ্দিকী জানান, তাদের প্রত্যাশিত ৬০-৭০টি আসনের থেকে দু পাঁচটা আসন কম নেওয়া হতে পারে তার বেশি নয়। কারণ, তার দলে শুধু মুসলিম প্রার্থী দিলে হবে না, দলিত ও আদিবাসী প্রার্থীও রয়েছেন। সেদিকটাও ভাবতে হবে। যদিও কারা প্রার্থী হবেন তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি বলে তিনি জানান।
এছিাড়া মিম-এর সঙ্গে জোট নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, কথা হয়েই রয়েছে। কিন্তু এখনও মিম-এর তরফ থেকে আসন দাবি করে তালিকা দেওয়া হয়নি। তাদের কাছে আসন সংক্রান্ত দাবির কথা জানাতে বলা হয়েছে।
তবে, আইএসএফ আসন রফা নিয়ে যে বল বিমান-সেলিমদের কোর্টে পাঠিয়েছেন তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct