আপনজন ডেস্ক: আবার তৃণমূলের ঘোর দুর্দিনে বিশেষ ভূমিকা নিতে চলেছেন ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তৃণমূলের আকাশে উদ্বেগের ছটা প্রবল হয়েছে। বিশেষ করে আর এক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রায় নীরবতা পালন করে চলেছেন তখন চুপ করে থাকার কথা নয় তৃণমূলের। তাই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সঙ্কট কাটাতে হাওড়া জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের দেখভালের দায়িত্ব তুলে দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং মমতার একান্ত স্নেহভাজন ফিরহাদ হাকিমের হাতে।
এর আগে হাওড়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছিলেন ফিরহাদ। সেসময় এই ধরনের সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়নি তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাই দলনেত্রীর কাছ থেকে দায়িত্ব পেয়ে জোরকদমে ময়দানে নেমে পড়রেন হাওড়া তৃণমূলকে সুসংহত করতে। প্রথমেই তিনি ফোন করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ও হাওড়ার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়া জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্ল মঙ্গলবার মন্ত্রিত্ব ও পদ ছাড়ার চিঠি দেওয়ার পর ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েন ফিরহাদ। সূত্রের খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলে তৃণমূলকে সুসংহত করার অনুরোধ করেন। সেই সঙ্গে, অভিমান ভুলে একসাথে কাজ করার কথা বলেন। তবে, এ প্রসঙ্গে রাজীবের তরফে এখনও তেমন কোনও বক্তব্য বা মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে রাজীবের মানভঞ্জন ভাঙার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু তাতে কোনও লাব হয়নি তৃণমূলের। তাই এবার ফিরহাদকে মাঠে নামানো হয়েছে হাওড়ার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে শান্ত করতে। তবে, ফিরহাদের সঙ্গে রাজীবের ব্যক্তিগত সম্পর্ক মধুর থাকায় এ যাত্রায় রাজীবের মানভঞ্জন হয় কিনা সেটাই দেখার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct