হসানুল হক, বসিরহাট: গত আমফান ঘূর্ণিঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর উপকূলবর্তী এলাকা হওয়াতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বসিরহাট এলাকা। প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন গ্রামগুলি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।
নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে রাখা হয়েছিল ফ্লাড সেন্টার অথবা কোন হাইস্কুলের সাইক্লোন সেন্টারে। করোনা পরিস্থিতিতে গতবারের আমফান ঝড়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি শুরু হল এদিনের বৈঠক থেকেই। এদিন ইছামতি নদীর বাঁধ পরিদর্শনে আসেন বসিরহাটের দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক সপ্তসী ব্যানার্জি বসিরহাট এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুর মন্ডল বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শফিকুল দফাদার সহ একাধিক নেতৃত্ব।
এদিন বসিরহাটের ইছামতি নদী ইটিন্ডা সহ বিভিন্ন নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন তারা পরিদর্শন শেষে বিধায়ক সপ্তসী ব্যানার্জি বলেন, আমরা এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রশাসনিক দিক থেকে প্রস্তুত রয়েছি যে সব জায়গাগুলো নিচু এলাকা ঝড় প্রভাব আনতে পারে সেই সব এলাকার মানুষদের বিশেষ সেন্টারে কোভিড প্রটোকল মেনে আনা হচ্ছে তাদের। সেদিন জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুর মন্ডল বলেন আমরা পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন পঞ্চায়েত কে প্রশাসনিক দিক থেকে জানানো হয়েছে এবং বাইকিং প্রচার শুরু হয়েছে। মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমস্ত মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকার কথা বলা হয়েছে। মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা সব সময় মানুষের সাথে রয়েছি আপনারা সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। তাছাড়াও মহকুমা শাসক দপ্তরে খোলা হচ্ছে ২৪ ঘন্টার জন্য কন্ট্রোলরুম। পাশাপাশি প্রতিটি ব্লকেই খোলা থাকবে বিডিওর নেতৃত্বে কন্ট্রোল রুম। বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উপরে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct