মোল্লা মুয়াজ ইসলাম,বর্ধমান,আপনজন: পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না ২ ব্লকের অন্তর্গত একলখী গ্রাম আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগের এক পীরের মাজার কে নিয়ে বিশ্বাস আর সম্প্রীতিকে সাক্ষি রেখে এই গ্রামে আজও সেই পীরের মেলায় হিন্দু-মুসলিম সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে চলেছেন। পীর সাহেবের মাজার এর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, বিখ্যাত বুজুর্গ আল্লাহর অলি সুফি সাধক ছিলেন শাহ চাঁদ আউলিয়া। সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে তিনি জীবিত ছিলেন। আনুমানিক ১৬৬১- ৬২ সাল নাগাদ তিনি একলখীতে আসেন। জানা যায়, শাহ চাঁদ পীরের সঙ্গে মালদার কুতুব বংশের একটা যোগ ছিল। মালদার বিখ্যাত ব্যাক্তি গনিখান চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে এই শাহ চাঁদ এর যোগ আছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী গনি খান নিজে কয়েকবার এসেছেন । লোকমুখে জনশ্রুতি শাহ চাঁদ সাহেব একটি মাত্র কলা খেয়ে বারো বছর কঞ্চিদহের ভিতরে সাধনা করেছিলেন। ত্রিশ কেজি ওজনের লোহার শিকল গায়ে জড়িয়ে তিনি সাধনায় মগ্ন থাকতেন। এমনকি কুমির তাকে খেতে পারেনি। এখনও সেই শিকল ও দস্তানা যত্নে রাখা আছে। তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে তিনি ‘শাচান’ নামে অধিক পরিচিত হয়ে গেছেন। দক্ষিণ দামোদরের একলখী গ্রামের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন শাহ চাঁদ আউলিয়ার মাজার। মাজারের আয়তন দীর্ঘ। চারিদিকে ভগ্ন প্রায় প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। প্রাচীরের চার দিকে ক্ষুদ্র ঘর। বহু প্রাচীন বট গাছের শিকড় প্রাচীর ভেদ করেছে। মাজারের পূর্বদিকে মহিলাদের কবর ও পশ্চিমদিকে পুরুষদের কবর। মাঝখানে বড় বেদির উপর স্বয়ং শাহ চাঁদ পীরের কবর । মাজারের পিছন দিকে শাহ চাঁদ পীরের পুকুর। মনোরম নির্জন ঘেরা পরিবেশে অবস্থিত মাজারটি। মেলা কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা বাদশা আলম ও প্রদীপ ঘোষ জানান বিশাল এলাকা জুড়ে মসজিদ মাজার কবরস্থান । এর সংরক্ষণ প্রয়োজন । রায়না ২ এর প্রাক্তন বিডিও দীপ্যমান মজুমদার ব্যাক্তি গত উদ্যোগে এর সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছিলেন । তার বদলির পর আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে । সম্প্রীতির ও পর্যটনের সেরা ঠিকানা এই শাহ চাঁদ। প্রদীপ ঘোষ ও বাদশা আলম সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এর ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখতে
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct