আপনজন ডেস্ক: ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার বিলকিস বানু ও তার পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যায় ১১ জন দোষীর সাজা মকুফ করে গুজরাত সরকার। তার বিরুদ্ধে বিলকিস বানুর আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টের শীঘ্রই করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমা ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ বিলকিস বানুর আইনজীবী শোবা গুপ্তাকে আশ্বস্ত করেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুনানি করার জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করা হবে।
গুপ্তা বিষয়টি জরুরি শুনানির জন্য উল্লেখ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী আবেদনের শুনানি থেকে সরে আসায় ভারতের প্রধান বিচারপতির দ্বারা একটি নতুন বেঞ্চ গঠন করা দরকার। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা করব। বিষয়টি শিগগিরই তালিকাভুক্ত করা হবে। এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি গুজরাট সরকার কর্তৃক গণধর্ষণ মামলায় ১১ জন দোষীর সাজা মওকুফ করার বিরুদ্ধে বিলকিস বানুর আবেদনের শুনানি শীর্ষ আদালতে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। কারণ সংশ্লিষ্ট বিচারপতিরা পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের অংশ হিসাবে স্বেচ্ছা মৃত্যু সম্পর্কিত একটি মামলার শুনানি করছিলেন। ওই দিনই বিচারপতি রাস্তোগি ও বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, গত ৪ জানুয়ারি বিচারপতি ত্রিবেদী বানু মামলায় ১১ জন দোষীর সাজা মওকুফ করার বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক আবেদনের শুনানি থেকে সরে আসেন। বিলকিস বানু ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর গুজরাত সরকার ১১ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে যে ‘অকাল’ মুক্তি দিয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct