কুতুবউদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং: বিগত বেশ কয়েকদিন বাসন্তীর হোগল সেতুর পাশে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়েছিলেন এক বছর ৬০ বয়সের বৃদ্ধা। ঘটনার নজর এড়ায়নি এলাকার যুবক তাপস ঘোষের। তিনি ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরিবারের সব হারিয়ে অসহায় বৃদ্ধা। এরপর জানা যায় ওই বৃদ্ধার নাম যমুনা রায়। তাঁর বাড়ি হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে। যদিও ওই বৃদ্ধা পরিবারের এখনও কোন খোঁজ মেলেনি।
ওই বৃদ্ধা যাতে করে তাঁর পরিবারের নিকট ফিরে যেতে পারে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করে জয়নগর কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল কে ঘটনার কথা জানান বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা বিশিষ্ট শিক্ষক তাপস মন্ডল।যদিও সঠিক কোন খোঁজখবর না পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন সকলেই।
এরপর সাংসদ প্রতিমা মন্ডল বৃদ্ধার সম্পর্কে সমস্ত তথ্য নিয়ে DSWO( ডিস্ট্রিক সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার ) কে চিঠি করেন। যাতে করে বয়স্ক বৃদ্ধার কোন বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই হয়। চিঠির ভিত্তিতে DSWO চিঠি করেন বাসন্তী ব্লকের শিবগঞ্জের 'চম্পাবতী শিশু উদ্যান' এর সম্পাদক তথা শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষক অমল নায়েককে।
জয়নগর কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মন্ডলের নির্দেশে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ডা. সৈকত বেরা(বিএমওএইচ),বাসন্তী থানার আইসি আব্দুর রব খান, বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস মন্ডল,উত্তম দাস ও সহৃদয় যুবক তাপস ঘোষের নেতৃত্বে ওই বৃদ্ধাকে বাসন্তীর শিবগঞ্জের ‘শান্তিনীড়’ বৃদ্ধাশ্রমের সম্পাদক অমল নায়েকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।সুত্রের খবর আপাতত ওই বৃদ্ধা শান্তিনীড়ে থাকলেও তার ঠিকানা ও পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct