নিজস্ব প্রতিবেদক, মহিষাদল, আপনজন: তৃণমূলের নেতা থেকে মন্ত্রীদের দুর্নীতি কর্মকাণ্ডে কার্যত অস্বস্তিতে সরকার। এবার তার প্রভাব পড়ল শুভেন্দুর খাসতালুক পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। মহিষাদলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকের জেতা বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী কাটমানি নিচ্ছেন বলে দলেরই খোদ অঞ্চল সভাপতি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। তৃণমূল নেতার বক্তব্যে ভাইরাল হওয়ার পর রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিধায়ক।কমলা কান্ত মণ্ডল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ব্লকের নাটশাল ২ তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি তাঁর স্ত্রী জেলা পরিষদে কর্মাদক্ষ কণিকা মণ্ডল। গত কয়েকদিন আগে মহিষাদল ব্লকের নাটশাল ২ তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি কমলা কান্ত মণ্ডলের ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও তার বলে তিনি দাবি করছেন, ‘নাটশাল ২ অঞ্চলের যে সমন্ত সরকারি কাজ করে থাকেন সেখান থেকে কার্যত বিধায়ক কাটমানি নিয়ে থাকেন। কটামানি নেওয়ার কথাটা পুরেপুরি সত্যি। কাটমানি অর্থের চারভাগ করে পাটে পাটে টাকা নিয়ে থাকেন। নিয়ম মেনেই কাজ হয় না। রাস্তার কাজ ছোট ও কম উচ্চতার করা হয়। কাটমানি নিয়ে নিন্মমানের কাজ করা হয়ে থাকে।’ কমলা কান্ত মণ্ডল বলেন, ‘’নাটশাল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের যাকে প্রধান করা হয়েছে, তিনি হচ্ছেন তৃতীয় শ্রেণি পাশ।অনেকের মাস্টার ডিগ্রি থাকলেও করা হয়নি।কারণ কাটমানি নিতে পারা যাবে না, যদিও এই বক্তব্য পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। তিনি জানান, কামলাকান্ত অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। এখন আছেন নাকি তার জানা নেই। দীর্ঘদিন ধরে অঞ্চল সভাপতি কাজ পালন করেননি। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। দলকে কালিমালিপ্ত করেছেন। এটা ভারতীয় জনতা পার্টির চক্রান্ত।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক বিভাগের চেয়ারম্যান পীযুষ কান্তি ভূঞ্যা আপনজন পত্রিকার সাংবাদিক কে বলেন এ বিষয়ে আমার জানা নেই,লোকাল সমস্যা নিজেরা মিটিয়ে নিবে,তমলুক সাংগঠনীক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বিজেপির চক্রান্ত নয় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল এটা তার প্রতিফলন। কাটমানি নিচ্ছেন। জনগণের চাপে বলতে বাধ্য হচ্ছেন। মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।মহিষাদলে নাটশাল ২ তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি কমলা কান্ত মণ্ডল বলেন, ‘’মহিষাদল থানার বড়বাবু আমাকে ডেকেছিল। আমার কাছ থেকে সব রকমের নথি চেয়েছে।আমি সব দেব।’’ মহিষাদল থানার ওসি প্রলয় চন্দ্রের বক্তব্য,ওনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই কারণে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। যদিও এখনও কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।তমলুক সাংগঠনিক বিভাগের জেলা সভাপতি সৌমেন কুমার মহাপাত্রের যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোনে পাওয়া যাই নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct