আপনজন ডেস্ক: নাইজেরিয়ার পুলিশের নারী সদস্যদের হিজাব পরার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন ড্রেসকোডে বেরেট বা পিক ক্যাপের নিচে কানের দুল ও হিজাব পরার অনুমোদন দেওয়া হয়। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের মতো এবার নাইজেরিয়ায় পুলিশ সদস্যদের এ অনুমোদন দেওয়া হয়। নাইজেরিয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক উসমান আলকালি বাবা অনুমোদিত ড্রেসকোডে বলা হয়, সিনিয়র নারী পুলিশ অফিসাররা চাইলে বেরেটের নিচে ইসলামী হিজাব পরতে পারবেন। গত ৩ মার্চ নতুন এ নির্দেশনা জানানো হয়। এক বিবৃতিতে বাহিনীর মুখপাত্র ওলুমুইওয়া আদজোবি বলেন, আইজিপি ও ‘কৌশলগত পুলিশ ব্যবস্থাপকদের’ সংশ্লিষ্ট এক বৈঠকে নতুন পোশাক কোড উন্মোচন করা হয়। পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সেবা ও পেশাদারিত্বে লিঙ্গ অন্তর্ভুক্তকরণ নিশ্চিত করতে নতুন ড্রেস কোড অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নাইজেরিয়ার পুলিশে জাতি ও ধর্মের সব সদস্যের অন্তর্ভূক্তির কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে আইজিপি বলেন, নাইজেরিয়া পুলিশ বাহিনীতে সব জাতি ও ধর্মের লোক রয়েছে। এতে নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিও রয়েছে। সর্বোচ্চ সেবা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে কর্মক্ষেত্রে সবার অন্তর্ভুক্তি, লিঙ্গ সমতা, জাতি ও ধর্মীয় বৈচিত্র আনা জরুরি। বিবৃতিতে বলা হয়, এটি কার্যকর বৈশ্বিক কর্মশক্তি বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির কথা জানিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময়তা একটি বৈশ্বিক কার্যকরী কর্মপন্থা। বিশ্বের অনেক দেশে এ ধরনের পোশাক কোডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। এদিকে হিজাব অনুমোদনের ঘোষণায় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছে নাইজেরিয়ার জাতীয় সংস্থা ফেডারেশন অব মুসলিম উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন। এ সংস্থার প্রধান হাজিয়া রাফিয়াহ ইদোয়ো সানি এক বিবৃতিতে জানান, ‘নাইজেরিয়ার পুলিশ বাহিনীর ইতিহাসে এটি অনন্য উন্নতি। পুলিশ বাহিনী নাইজেরিয়ার প্রথম নিরাপত্তা বাহিনী, যারা ইউনিফর্ম হিসেবে আগ্রহী মুসলিম নারী অফিসারদের হিজাব পরার অনুমোদন দিয়েছে। ’বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আইজিপি বলেছেন, পোশাক কোড আন্তর্জাতিকভাবে সর্বোত্তমভাবে অনুশীলন হচ্ছে। লিঙ্গ, ধর্ম ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ ফুটে উঠেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct