সামিম আহমেদ, বারুইপুর: কথায় আছে শীতের কাঁথা, বর্ষার ছাতা ছাড়তে নেই। সেই কথা গুলো মাথায় রেখে সারা বছর চলে বিভিন্ন পোশাকের আনা গোনা।
সমাজ সেবা যখন রক্তে মিশে যায় যে কেউ না করে থাকতে পারেন না। সারা বছরে বিভিন্ন সমাজ ভাবনা মূলক কাজের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা ও একটা কাজ। সহিদুল লস্করের বাগান বাড়িতে চলে সারাদিনের বস্ত্র দান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বারুইপুরের পুঁড়ি গ্রামের প্রত্যন্ত বাড়ি থেকে প্রকৃত অসহায় শতাধিক মানুষের নাম সংগ্রহ করে তাদের হাতে শীতবস্ত্র কম্বল ও বয়স্কদের হাতে চাদর তুলে দেন। তিনি বক্তৃতার মধ্যে খুব দুঃখ ও পরিতাপের সাথে বলেন “আমার কাজ কে থামিয়ে দিতে পারেন, গরীবের জন্য গড়া অসমাপ্ত হসপিটাল ভেঙে দিতে পারেন কিন্তু মনে রাখবেন মন থেকে মুছে দিতে পারবেন না”।
সারাদিন চাঁদের হাটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী রুমা রায়, সুদূর সুন্দরবন থেকে সহিদুলের মহৎ কাজের গুরুত্ব বোঝাতে উপস্থিত হয়েছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত ডাক্তার অরুণ উদয় পদ্ম, আইনজীবী মাসুমা বেগম, বাচিক শিল্পী অর্পিতা দাস এবং সমাজসেবী নিলুৎপল ব্যানার্জী সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তি বর্গ।
আরও পড়ুন:
শীতবস্ত্র গুলির মান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সহিদুল লস্কর বলেন, ‘বস্ত্র সামগ্রী নিজের ব্যবহারের অযোগ্য তা অন্যের জন্য ব্যবহার যোগ্য মনে করা টাই অপরাধ দেওয়া তো দূরের কথা’।