আপনজন ডেস্ক: কাজের চাপে রাত্রে কি আপনার ঘুমোতে অনেক দেরি হয়। সাধারনত বলা হয় যে রাত জাগাটা শরীর আর মনের জন্যে অনেক বেশি খারাপ। ধরুন বিষ খাওয়ার উপকারিতা যেমন রাত জাগার উপকারিতাও তেমন। রাত জাগার অপকারিতা আছে কিন্তু উপকারিতা নেই। প্রতিরাতে নির্দিষ্ট একটা সময় বিশ্রাম শরীরকে দিতে হয়ই। কথাটা কিছুটা সত্যি। কিন্তু পুরোপুরি নয়! তবে অনেকের ধারণা তাদের ব্রেইন মধ্যরাতে বেশি কাজ করে। রাত জাগার যেমন আছে বাজে দিক, তেমনি আছে কিছু ভালো ব্যাপারও।
১. সারাদিন কাটে প্রচন্ড ব্যস্ততা, কাজের হুড়োহুড়ি আর কোলাহলের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু রাত্রে ধীরেধীরে নেমে আসে নিস্তব্ধতা। আশপাশের পরিবেশ হয়ে উঠে বেশ শান্ত। এই সময়ে মানুষের মন পায় নিজের মতন করে ভাবার কিছু একান্ত সময়।
২. মানুষ রাতে এক হয়ে পরে। ফলে নিজের মতন করে কিছু সময় সে কাটাতে পারে। দিনের বেলায় তার চারপাশে থাকে হাজারও মানুষের সমাগম। ফলে রাতের নিস্তব্ধতায় অনেক দিন ধরে ফেলে রাখা কোন বই, নতুন কোন খাবার, নতুন কোন চলচ্চিত্র বা খেলা- এসব কিছুকে উপভোগ করা যেতে পারে।
৩. যেহেতু রাত্রে পরিবেশ তা থাকে খুব শান্ত আর কাজে বাধা দেওয়ার মতোও কেউ থাকে না, ফলে সবার পক্ষে অনেক সহজ হয় নিজের হাতের কাজের দিকে পুরোটা মনযোগ দেওয়া। আর মনোযোগ একদিকে থাকলে কাজগুলোও দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2022 | Design & Developed by Webguys Direct