আজিজুর রহমান,গলসি,আপনজন: আবারও গলসির ভদ্রেশ্বর মিলে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পরলেন গলসির পারাজ ও শিড়রাই অঞ্চলের চাষিরা। এদিন বেলা এগারো নাগাদ এলাকার বেশকিছু চাষি ভদ্রেশ্বর কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষোভে ফেটে পরেন। কথা চলাকালীন সময় বিক্ষুব্ধ চাষিরা মিলের ভিতরে থাকা ধানের গাড়ি বের করে দিতে উদ্দত হয়। অবশেষে বিকেলে সমাধানের আশ্বাসে পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন চাষিরা। স্থানীয় চাষি আলি আহম্মদ, পুর্ন রুজ, গোলাম রসুল মন্ডল সহ বেশিরভাগ চাষির দাবী, দীর্ঘদিন ধরে ওই মিলের পচা জল, ছাই ও গুড়ো ধুলো ভোগ করছেন তারা। তাহলে তাদের ধান কেন নেবে না ওই মিল।
তারা জানাই মিলের উৎপাতে এলাকার ভুগর্ভস্থ জল সংকট দেখা দিয়েছে। যা তারা সহ্য করছেন। মিলের ধুলো ও গুড়োতে তাদের চোখে পরছে তাও তারা সহ্য করছে। তাহলে মিল কেন তাদেরধান সহায়ক মুল্যে কিনবে না। তারা বলেন, গতবার নিচ্ছি নিচ্ছি করে পার করে দেন। এবার কিন্তু তারা সহজে ছাড়বেন না।তাদের ধান না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। তবে মিল কতৃপক্ষের ম্যানেজার ভিগুরাম খাঁ দাবী, ছাই, গুড়ো ও পচা জলের বিষয়ে চাষিরা সংস্লিষ্ট সরকারী দপ্তরে জানাক। সরকারে তাদের যেভাবে মিল চালাতে বলবে তারা সেই ভাবেই মিল চালাবেন। তাছাড়াও তারা সিপিসি র মাধ্যমে ধান কিনছেন শিড়রাই অঞ্চলের। সরকার পারাজের চাষিদের ধান সহায়ক মুল্যে কিনে তাদের দিলে তারা নিতে রাজি আছেন। তবে এই বিষয়ে শিড়রাই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সেখ আব্দুস সামাদ জানান, গতবারের মতো এবার ধান নিচ্ছে না ওই মিল। দুদিন তিনদিন পর কোটা পরছে ত্রিশটা পঁয়ত্রিশটা করে গাড়ি ধান নিচ্ছে। তারপর আর নিচ্ছে না। গতবার যেভাবে নিয়েছে সেইভাবে নিচ্ছে না তাদের চাষিদের ধান। যেখানে ২৬০০ চাষির রেজিস্ট্রেশন আছে সেখানে মাত্র ২০০ চাষির ধান এসেছে। মিল ঠিকঠাক লেবির চাল জমা না করায় তাদের এলাকার চাষিরা ধান বেচতে পারছে না বলে অনুমান তার। তবে মিল পার্শবর্তী পারাজ অঞ্চলের চাষিদের দাবী, তাদের ধান সরকারি সহায়ক মুল্যে না নিলে তারা বৃহত্তম আন্দোলনে নামবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2022 | Design & Developed by Webguys Direct