বাবরি মসজিদ-রামমন্দির বিবাদ এখন স্তিমিত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিষয়টির ফয়সালা করা হলেও তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। যদিও ভূমিপুজোর মাধ্যমে রামন্দিরের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। অযোধ্যায় অতীত হয়ে উঠছে বাবরি মসজিদের ইতিহাস। কিন্তু মানুষের মধ্যে এখনও বাবরি মসজিদ-রামমন্দির নিয়ে বিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের আগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। তাই রামের ইতিহাস থেকে শুরু করে রামমন্দির, বাবর থেকে শুরু করে বাবরি মসজিদ- সমগ্র বিষয়টি নিয়ে এই অনুসন্ধিৎসু প্রতিবেদনটি লিখেছেন দিলীপ মজুমদার। পঞ্চদশ কিস্তি।
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রিয়পাত্র এবং তাঁর ব্যক্তিগত সচিব অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলন ও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সম্পর্কের উপর আলোকপাত করা দরকার। কারণ আদবানির মতো তিনিও ছিলেন বিজেপির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি। গোবিন্দাচার্য বলেছেন, ‘বাজপেয়ীজি হামারা মুখ নেহি, মুখোটা হ্যায়’। অর্থাৎ বাজপেয়ী হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের মুখ নয়, মুখোশ ছিলেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম জন্মভূমি আন্দোলনে বাজপেয়ীর সজীব আগ্রহ ছিল না। তবে তিনি কখনও এই আন্দোনের বিরোধিতাও করেন নি। উমা ভারতী বলেছিলেন, ‘অযোধ্যায় রামলালার মন্দির হোক এটা অটলজি চাইলেও এই আন্দোলনে তিনি কখনও সক্রিয়ভাবে যে যোগ দেবেন না, তা জানতাম’।
আরও পড়ুন:
১৯৯০ সালের ৩০ অক্টোবর রথযাত্রার কর্মসূচি ঠিক করেন গোবিন্দাচার্য। ইনি ছিলেন বিজেপি ও আরএসএসের সমন্বয়কারী। চার নেতাকে চার জায়গা থেকে রথযাত্রায় নেতৃত্ব দানের প্রস্তাব দেন তিনি :
ক] কামাক্ষা মন্দির থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের মা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়া। এত বড় লম্বা যাত্রার ধকল শরীর সইবে না বলে বিজয়া রাজে রথযাত্রা থেকে বিরত হন।
খ] মুম্বাই থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন সিকন্দর বখত। তবে বখত জানালেন যে যাত্রার নেতৃত্বে তিনি থাকলে মানুষ সাড়া দেবে না।
আরও পড়ুন:
গ] কন্যাকুমারী থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন লালকৃষ্ণ আদবানি। আদবানি সোমনাথ থেকে রথযাত্রার প্রস্তাব দেন। তাঁর প্রস্তাব গৃহীত হয়।
ঘ] জম্মু থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। গোবিন্দাচার্যের এই প্রস্তাব শুনে এই ধরনের যাত্রাকে নাটকবাজির সঙ্গে তুলনা করে বাজপেয়ী বলে দিলেন যে এসব তামাশায় তিনি নেই, ‘ম্যায় অ্যায়সি নৌটঙ্কি পে নহিঁ জাতা’।
করসেবকদের ‘বানরসেনা’ বলে সম্বোধন করতেন বাজপেয়ী। রামজন্মভূমি আন্দোলন নিয়ে তিনি খুব স্বস্তিতে ছিলেন না। সে কথা বলেছেন বাজপেয়ীর প্রিয় বন্ধু ও আইনজীবী আপা ঘাটাতে।
আরও পড়ুন:
আদবানির রথ যখন অযোধ্যায় উপস্থিত হল, তখন বাজপেয়ী কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলেন, রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য আদবানি অযোধ্যায় যাচ্ছেন না। তিনি ব্রত পালনের জন্য যাচ্ছেন। তাঁকে অনুসরণ করছে বানরসেনা।
রথযাত্রা শেষ হওয়ার পরে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জয়পুরে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে বাজপেয়ী জানতে চেয়েছিলেন এটা কোন রাজনৈতিক দল, নাকি ধর্মসংসদ !
তারপরে এসে গেল লোকসভা নির্বাচন। বাজপেয়ী লক্ষ্য করলেন রামনামে দলের কলেবর বৃদ্ধি হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দলের কল্যাণ সিং ১২০টি আসন লাভ করে মসনদ দখল করেছেন। রামজন্মভূমি আন্দোলনে বিশ্বাস না থাকলেও তিনি তার পক্ষে বক্তৃতা দিতে লাগলেন। ১৯৯১ সালের ৪ এপ্রিল দিল্লির বোট ক্লাবের বক্তৃতা প্রসঙ্গত স্মরণীয়। সেই জন্য গোবিন্দাচার্য বলেছেন, ‘ কোন ব্যাপারে মন থেকে বিশ্বাস না করলেও তা নিয়ে সুস্পষ্টভাবে বক্তৃতা করা ছিল তাঁর বিশেষত্ব।’
আরও পড়ুন:
১৯৯২ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধুদের সঙ্গে এক মঞ্চে সমেবত হন। সেদিন করসেবকদের উদ্দেশ্যে তিনি ভাষণ দেন। অবশ্য সে ভাষণে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ ছিল। আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এমন কোন উপাদান তাঁর ভাষণে ছিল না। মসজিদ ধ্বংসের পরে জয় শ্রীরাম ধ্বনির মধ্যে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে হাসিমুখে তিনি ছবি তুলেছিলেন। ৬ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে লক্ষ্মৌ এসে বিমান বন্দরে প্রতীকী করসেবা করে তিনি গ্রেপ্তার বরণ করেন। ‘আউটলুক’ পত্রিকার সাংবাদিককে তিনি বলেছিলেন, ‘মেরা অযোধ্যা আন্দোলন মে জাদা রোল নেহি থা।’
কিন্তু অন্যায় যে সহ্য করে সেও যে সমান দোষী। [সূত্র ডেইলি / সাবা নাকভি / ০৮.১২.১৮]
এবার আমরা দেখব বাবরি মসজিদ ধ্বংসে তখনকার প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেস দলের নরসিমা রাওএর ভূমিকা ঠিক কী ছিল।
আরও পড়ুন:
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর। রবিবার। প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও সেদিন দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। খবরের কাগজ পড়া শেষ করে আধঘন্টা ট্রেডমিলে হাঁটলেন। একটু পরে এলেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ কে শ্রীনাথ রেড্ডি। রুটিন চেক আপ করে চিকিৎসক তাঁর বাসায় ফিরে গেলেন। দুপুর ১২.৩০ নাগাদ টেলিভিশনে ডাঃ দেখলেন হাজার হাজার করসেবক মসজিদের উপরে। ১.৫৫ মিনিটে ভাঙল প্রথম গম্বুজটি। তখন চিকিৎসকের মনে এল প্রধানমন্ত্রীর কথা। তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। বছর দুয়েক আগে হার্টের অপারেশন হয়েছে। রাজনীতি থেকে তিনি অবসর নিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে প্রধানমন্ত্রী হলেন।
বাবরি মসজিদের তৃতীয় গম্বুজ ভাঙতেই ডাঃ রেড্ডি ছুটে এলেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। তাঁকে দেখে নরসিমা রাও বেশ ক্ষুব্ধ, বললেন, ‘আপনি আবার কী করতে এসেছেন ?’ ডাঃ বললেন, ‘একবার পরীক্ষা করে দেখা দরকার।’ পরীক্ষা করে ডাঃ দেখলেন রক্তচাপ বেশি। বেশি পালস রেট। বিটা ব্লকারের বাড়তি ডোজের ওষুধ দিলেন।
ডাঃ চলে যাবার পরে প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলেন। সন্ধ্যা ৬টা্য় নিজের বাসভবনে ডাকলেন মন্ত্রীসভার বৈঠক। [বিবিসি হিন্দি / রেহান ফজল ]
আরও পড়ুন:
মন্ত্রীসভার বৈঠকের বর্ণনা দিয়েছেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন সিং তাঁর আত্মজীবনীতে [ ‘A GRAIN OF SAND IN THE HOURGLASS OF TIME,’ 2012] : ‘ পুরো বৈঠকে নরসিমা রাওএর মুখ দিয়ে একটা শব্দও বেরোয় নি। সকলের নজর সি কে জাফর শরিফের দিকে ঘুরে গিয়েছিল। তিনি সে সময়ে ছিলেন রেলমন্ত্রী। সকলেই যেন শরিফকে বলতে চাইছিলেন, আপনি কিছু একটা করুন। তিনি তখন বলেছিলেন, এই ঘটনার জন্য দেশ, সরকার, আর কংগ্রেস পার্টিকে বড় মাশুল গুনতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাখনলাল ফোতেদার তখনই কেঁদে ফেলেছিলেন। কিন্তু পাথরের মতো নিশ্চুপ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।’
ফোতেদার তাঁর আত্মকথায় [‘ THE CHINAR LEAVES,’ 2015] বলেছেন, ‘ আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম বিমানবাহিনীকে নামাতে। ফৈজাবাদ শহরে বিমানবাহিনীর যে কটা চেতক হেলিকোপ্টার ছিল, তা থেকে করসেবকদের ওপরে কাঁদুনে গ্যাসের গোলা ছোঁড়ার নির্দেশের পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, এটা আমি কী করে করব ? আমি তাঁকে বলেছিলাম এ রকম জরুরি পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সে ক্ষমতা আছে। কাতর আর্তি জানিয়ে বলেছিলাম, রাওসাহেব, ধবংসের হাত থেকে অন্তত একটা গম্বুজ তো বাঁচান ; সেই গম্বুজটাকে আমরা একটা কাচের ঘরে রেখে ভারতের মানুষকে যাতে বলতে পারি ; বাবরি মসজিদ রক্ষা করতে আমরা সবরকম চেষ্টা করেছিলাম। কিছুক্ষণ চুপ করে থাকবার পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফোতেদারজি আমি কিছুক্ষণ পরে আপনাকে ফোন করব।’
মাখনলাল ফোতেদার আরও লিখেছেন, ‘ প্রধানমন্ত্রীর অকর্মণ্যতায় ভীষণ নিরাশ হয়ে পড়েছিলাম আমি। রাষ্ট্রপতি শঙ্করদয়াল শর্মাকে ফোন করে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সময় চাই। তিনি আমাকে বিকাল ৫.৩০ নাগাদ দেখা করতে বলেন। আমি যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোচ্ছি, তখন প্রধানমন্ত্রীর ফোন এল, বলা হল সন্ধ্যা ৬টায় মন্ত্রীসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। আমাকে দেখেই রাষ্ট্রপতি শিশুর মতো কেঁদে ফেললেন, বললেন, পিভি এটা কী করল ? আমি তাঁকে বললাম, রেডিও আর টিভির মাধ্যমে আপনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে কিছু বলুন। তিনি রাজি হয়ে গেলেন। কিন্তু তাঁর তথ্য উপদেষ্টা তাঁকে জানালেন এর জন্য দরকার প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি। সে অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল।’
আরও পড়ুন:
সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার তাঁর আত্মজীবনী ‘BEYOND THE LANES ‘[2012] তে লিখেছেন, ‘ আমার কাছে খবর ছিল যে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পেছনে রাওএর একটা ভূমিকা ছিল। যখন করসেবকরা একের
পর এক গম্বুজ ভেঙে ফেলছে সে সময় তিনি নিজের বাসভবনে পুজো করছিলেন। মসজিদের শেষ পাথরটা ভেঙে দেওয়ার পরে তিনি পুজো শেষ করে ওঠেন।’
‘HALF LION’ এর লেখক বিনয় সীতাপতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে ১৯৯২ এর নভেম্বরে আসলে দুটো জিনিস ধ্বংসের পরিকল্পনা করা হয়। এক, বাবরি মসজিদ ও দুই, নরসিমা রাওএর পতন। সংঘ পরিবার করবে প্রথমটি আর কংগ্রেসের একাংশ করবে দ্বিতীয়টি। ১৯৯২ সালের নভেম্বরে রাজনৈতিক বিষয়ের ক্যাবিনেট কমিটির ৫টা বৈঠক হয়। কিন্তু সে বৈঠকে একজন কংগ্রেস নেতাও উত্তরপ্রদেশের কল্যাণ সিং সরকারকে বরখাস্ত করার প্রস্তাব দেন নি। রাওএর অফিসাররা তাঁকে জানিয়েছিলেন কোন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার পরে সেই রাজ্য সরকারকে ভেঙে দেওয়া যায় ; কিন্তু আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সরকার ভাঙা যায় না।’
আরও পড়ুন:
ইন্দিরা গাঁধী সেন্টার অফ আর্টসের প্রধান রাম বাহাদুর রায় বলেছেন, ‘ ১৯৯১ সালে যখন বোঝা যেতে লাগল যে বাবরি মসজিদের বিপদ বাড়ছে, তখনও প্রধানমন্ত্রী কোন ব্যবস্থা নেন নি। মিঃ রাওএর প্রেস উপদেষ্টা পি ভি আর কে প্রসাদ একটা বইতে লিখেছিলেন কী ভাবে মসজিদটা ভেঙে যেতে দিয়েছিলেন নরসিমা রাও। বাবরি ধ্বংসের পরে তিন জন সিনিয়র সাংবাদিক দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এঁরা হলেন নিখিল চক্রবর্তী, প্রভাস যোশী, আর কে মিশ্র। আমিও ছিলাম তাঁদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন তিনি এরকম হতে দিলেন কেন ! উত্তরে রাও বলেন, আপনাদের কী মনে হয় আমি রাজনীতি বুঝি না ? তাঁর এই কথার অর্থ আমার কাছে এই ছিল যে তিনি মনে করছিলেন সত্যি যদি বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়, তাহলে বিজেপি আর মন্দির নিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না। আমার মনে হয়, বিজেপির সঙ্গে কোন ষড়যন্ত্র করে নয়, অথবা কোন ভুল চিন্তার কারণে নয়, রাজনৈতিকভাবে বিজেপির কাছ থেকে এই ইস্যুটা কেড়ে নেবার জন্য রাও চুপ করে ছিলেন। তাঁর প্রত্যেকটা পদক্ষেপ এমন ছিল যাতে মসজিদটা ধ্বংস হয়ে যায়।’
(মতামত লেখকের নিজস্ব)
(লেখক সিনিয়র ফেলোশিপপ্রাপ্ত গবেষক)
আরও পড়ুন:
এর আগের পর্বগুলি পড়ুন:
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/১৪
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/১৩
আরও পড়ুন:
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/১২
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/১১
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/১০
আরও পড়ুন:
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/৯
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/৮
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/৭
আরও পড়ুন:
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/৬
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/৫
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/৪
আরও পড়ুন:
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/৩
রাম, রামায়ণ ও বাবরি রাজনীতি/২
রাম, রামায়ণ ও বাবরি মসজিদ নিয়ে রাজনীতির নেপথ্যে/১আরও পড়ুন: