আর এ মণ্ডল, ইন্দাস: বাঁকুড়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে উল্লেখযোগ্য কোন প্রতিনিধিত্ব পাওয়া যায়নি।
স্বাধীনতার পূর্বোত্তরকালে বাঁকুড়া জেলায় জমিদার ডা. সৈয়দ মুহাম্মাদ সিদ্দিক দুই বার মুসলিম লিগ থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন। যদিও বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় জেলা পরিষদের সদস্য পদ সৈয়দ মুজিব আহমাদ, সৈয়দ আব্দুর রহমান, সেখ ইমামুল হোসেন প্রমুখ পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, সিপিএম হটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থানে রামিজা বেগমকে জেলা পরিষদের সদস্যা নির্বাচিত হন। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রামিজা বেগমকে বাদ দেয়া হয় এবং এখন কোনও সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই।
বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে দলকে ওন্দা অথবা বড় জোড়া থেকে সংখ্যালঘু প্রতিনিধির জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলে ইন্দাস ব্লকের তৎকালীন কংগ্রেসের প্রতিনিধি একজন বিধায়কের জন্য অনুরোধ করেছিলেন, ফল মেলেনি। স্বাধীনতার পর থেকে বাঁকুড়া জেলায় তাই মুসলিম বিধায়ক অধরা হয়ে থাকল।
আরও পড়ুন: