আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরাইলের বিবাদ আজকের নয়। একসময় স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রধান ইয়াসির আরাফাত খুবই তৎপর ছিলেন। সারা বিশ্বে তিনি সাড়া জাগিয়েছিলেন। তাকে দমন করতে ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ বিশেষ পরিকল্পনা করে। লেবানন সফরে মোসাদ চেষ্টা করেছিল বিস্ফোরণে ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করতে। সেই তথ্য সম্প্রতি ফাঁস করে দিয়েছে এদিয়থ আহরোনথ নামে ইসরাইলি একটি দৈনিক।
ওই দৈনিক বলছে, ১৯৮২ সালের জানুয়ারিতে লেবাননের একটি স্টেডিয়াম বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতকে হত্যার চেষ্টা করেছিল ইসরাইল।
জানা যায় ফিলিস্তিনি লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) এ নেতাকে তৎকালীন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিনের নির্দেশে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ওই গুপ্তহত্যার মিশনে নামে।
ইসরাইলি দৈনিকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পরিকল্পনা অনুয়ায়ী তখন ইসরাইলি গোয়েন্দাদের বৈরুত স্টেডিয়ামের মধ্যে এর চারপাশে বিস্ফোরক মজুদ করে রাখতে বলা হয়েছিল।
ইসরাইলের প্রাক্তন এক সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটিতে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আরাফাতকে হত্যার মিশনের প্রধান করা হয় মেয়ার দেগান নামে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে, যিনি পরে মোসাদের প্রধান হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহুর্তে ওই হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯৪ সালে অসলো শান্তি চুক্তির পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইয়াসির আরাফাত।
২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর ৭৫ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিলিস্তিনি এ সংগ্রামী নেতার মৃত্যু হয়। তাকে স্লো পয়জন দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct