যুগের অপমৃত্যু
আব্দুল মুকিত মুখতার
ইংরেজি নাম মোবাইল তবে
বাংলাতে তা দূরাভাস
যোগাযোগের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম
কারও জন্য সর্বনাশ।
কেউ সেটারে ভালো ভাবে
কারও কাছে মন্দ
কারও জন্যে বহে আনে
কেবল নিরানন্দ।
মোবাইল কেনার সামর্থ্য নেই
গরীব বাপের কন্যা
ধনী দুলালীর টিজিং জ্বালায়
অশ্রম্ন ডাকে বন্যা।
বাপেরে কয় একটি মোবাইল
দাও না বাবা কিনে
মোবাইল ছাড়া চলা যায় কি
বলো আজকের দিনে?
বাবা বললো, নারে মা
জিনিসটা কিন্তু ভালো না
মূর্খ সূক্ষ্ম মানুষ আমি
অত শত বুঝি না।
ভালোর চেয়ে মন্দ বেশি
এই মেশিনের ব্যবহার
লেখাপড়ায় মন লাগে না
জীবন নাশের কারবার।
বাদ দেরে মা দরকার নেই
একটু বড়ো হলে
পাশ করিলে কত মোবাইল
ভেসে আসবে জলে।
জজ ব্যারিস্টার হবি যখন
দেখবি নয়ন খোলে
মোবাইল ছাড়াও বিদ্বান ছিল
আগের মেয়ে ছেলে।
মায়ের নিষেধ বাবার উপদেশ
শান্ত হয় না মন,
নিঃস্ব কোলে পাঠালো সাঁই
দিল না একটু ধন।
শ্রষ্টার প্রতি বিরক্ত হয়
ধিক্কার নিজের তরে
আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়
বুলিং জ্বালার ডরে।
সংবাদ পড়ে চমকে উঠি
হায়রে সোনার বাংলাদেশ
নিজকে নিজে হত্যা করে
দেশের এ কোন পরিবেশ।
কয়েক ডজন ঘটনা পড়লাম
প্রতিদিনের দৈনিকে
সব কটাই মোবাইল নিয়ে
আত্মহত্যা নেয় ডেকে।
স্কুল কলেজ পড়–য়া এরা
মোবাইল তাদের বায়না
সমাজ এতো জংলি কেন
শিক্ষকরা কি দেখে না?
পিতা মাতার পরেই তো
শিক্ষাগুরুদের স্থান
নেতারা তো আছে সমাজে
যাদের এতো সম্মান।
তারা কী দেখে না দেশের
এ কোন পরিণতি
মোবাইলের জন্য শিক্ষার্থীরা
কেন দেয় আত্মাহুতি?
যে যা বলুন যুক্তি বিশ্লেষণ
যা—ই থাকুক হেতু
সমাজেরই এটা আত্মহত্যা
ঘটছে যুগের অপমৃত্যু।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct