ওয়াসিফা লস্কর, মগরাহাট: দেশজুড়ে থাবা বসিয়েছে মহামারি করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় বাড়ছে। সকলকে মাস্ক পরে চলার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। মাস্ক ছাড়া অবাধে স্টেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছে স্টেশনে আসা ট্রেন যাত্রী থেকে স্টেশনে দোকানদাররা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার শিয়ালদহ - ডায়মন্ড শাখার মগরাহাট, সংগ্রামপুর, দেউলা , নেতড়া, বাসুলডাঙ্গা ও গুরুদাসনগর স্টেশন গুলোতে এমন ছবি দেখা মিলছে। রেলের পক্ষ থেকে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে স্টেশনে আসা এবং ট্রেন যাত্রীদের উদ্দেশ্যে যাতে বিনা মাস্কে কেউ স্টেশনে প্রবেশ না করে। বিনা মাস্কে স্টেশনে প্রবেশ করলে জরিমানাও করা হচ্ছে। এ সবই করা হচ্ছে যাতে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে সকলকে বাঁচানো যায়। কিন্তু সাধারণ যাত্রীদের মধ্যেও সচেতনতার অভাব। এমনকী স্টেশনের হকার থেকে শুরু করে দোকানদারদেরও।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন বহু ট্রেনের গার্ড, ড্রাইভার, টিটি। এমনকী রেলকর্মীরাও। তার জেরে প্রতিদিন শিয়ালদা ও হাওড়া শাখায় বহু নিয়মিত ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে।
অন্যদিকে, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার জংশন স্টেশন গুলোতে পুলিশের কড়া নজরদারি থাকলেও এখন শিয়ালদহ - ডায়মন্ড হারবার শাখার বিভিন্ন রেল স্টেশনে পুলিশের কড়া নজরদারি নেই। তাই মাস্ক ছাড়া অবাধে স্টেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছে যাত্রী থেকে স্টেশনে দোকানদাররা। এমন ছবি গুরুদাসনগর, বাসুলডাঙ্গা, নেতড়া, দেউলা, সংগ্রামপুর, বাহিরপুয়া, মগরাহাট সহ বেশ কিছু স্টেশন গুলোতে। এদিন এমন মাস্ক ছাড়া স্টেশনে আসা ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে তারা নির্দ্বিধায় কেউ কেউ জানান, ট্রেনে ওঠার আগে মাস্ক পরব, নাহলে পুলিশ ধরতে পারে ট্রেনের মধ্যে। আবার কেউ বলেন এত গরমে মাস্ক পরতে প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে আবার কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না করোনা। অনেকে আবার বলেছেন, করোনা বলে কিছু নেই নিজেরা রাজনীতি করছে দেশের মানুষকে জব্দ করার জন্য কারন এখন ভোট চলছে তাই। অনেকের মাস্ক পরার ইচ্ছা না থাকলেও স্টেশনে ট্রেন ঢোকা বা ট্রেনে ওঠার আগে মাস্ক পরছে পুলিশের ভয়ে। ফলে, সচেতনতার অভাবে করোনার বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct