মুসলিমদের একজোট হয়ে ভোট ভাগাভাগি রোখার আর্জি জানানোয় নির্বাচন কমিশনের নোটিশ মমতাকে
আপনজন ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভায় রাজ্যের মুসলিমদের প্রতি একজোট হয়ে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা হুগলির তারকেশ্বরে গত ৩ এপ্রিলের সভায় আর্জি জানিয়েছিলেন, মুসলিম ভোট যেন ভাগ না হয়। তার কারণ হিসেবে হায়দরাবাদের দল মিম ও ফুরফুরার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফ-এর প্রতি আঙুল তুলেছিলেন। মমতার সেই আর্জি ভালাভাবে নেয়নি। বিজেপি। তারা মমতার এই ধরনের আর্জির বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে বলে, এই ধরনের আবেদন সাম্প্রদায়িক। তার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বুধবার এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ জারি করে ‘ধর্মের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে ভোট চাওয়ার’ ব্যাখ্যা চেয়েছে।
৬৬ বছর বয়সি মমতাকে এই নোটিশের জবাব আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়া না হয় তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুকতার আব্বাস নাকভির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানায়। তারা মমতার জনসভার বক্তব্য তুলে ধরে জানায়, মমতা বলেছেন, ‘আমি সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি আপনারা শয়তানদের কতা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি করবেন না, যারা বিজেপির থেকে টাকা নেয়। তিনি হিন্দু মুসলিমের মধ্যে সংঘর্ষ লাগানোর মতো সাম্প্রদায়িক বিবৃতি দেন। বলেন, সিপিএম ও বিজেপি টাকা নিযে গুরে বেড়াচ্ছে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার জন্য’।
আরও পড়ুন:
এই বক্তব্য, নির্বাচনের কোড অফ কনডাক্ট ভঙ্গ করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ করে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদি মমতার এই বক্তব্য নিয়ে সরব হন। মোদি বলেন, ‘মমতা বলেছেন, সব মুসলমান একজোট হও। ভোট যেন ভাগ না হয়। এই কথা বলার অর্থ মুসলিম ভোট ব্যাংককে মমতার নিজের শক্তি মনে করা। কিন্তু তা মমতার হস্ত থেকে বেরিয়ে গেছে, মুসলমানও এখন ওর সঙ্গে নেই, বাংলায় দিদির হার নিশ্চিত।’ সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, যদি এর উলটোটা হতো। যদি বিজেপি বলত যে সব হিন্দু একজোট হয়ে আমাদের ভোট দাও। তাহলে নির্বাচন কমিশন এতক্ষণে ৮–১০টা নোটিশ পাঠিয়ে দিত।
আরও পড়ুন:
অবশেষে নির্বাচন কমিশন সত্যিই নোটিশ পাঠাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে। তবে, তা মোদির সরব হওয়ার জন্য না বিজেপি প্রতিনিধি দলের অভিযোগ জানানোর জন্য তা অবশ্য পরিষ্কার নয়।