আপনজন ডেস্ক: কর্নাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যখন হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে বির্তক অব্যাহত তখন বিহারের বৈশালী জেলার শিক্ষা বিভাগের এক নির্দেশকে ঘিরে ফের বিতুর্ক শুরু হয়েছে। বিহারের বৈশালী জেলার শিক্ষা বিভাগ স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষকদের উপর একটি ড্রেস কোড আরোপ করেছে। বৃহস্পতিবার বৈশালীর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বীরেন্দ্র নারায়ণের কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে এবার থেকে আর শিক্ষকদের জিন্স, ট্রাউজার, টি-শার্ট, কুর্তা-পাজামা ইত্যাদি পরে আর স্কুলে আসা চলবে না। শিক্ষা বিভাগ সমস্ত পুরুষ শিক্ষকদের ফর্মাল প্যান্ট এবং ফুল বা হাফ-হাতা শার্ট পরার নির্দেশ দিয়েছে।
শিক্ষা আধিকারিক বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত যেসব ছবি ও ভিডিও আসে, যেখানে শিক্ষকরা ভালো দেখায় না। এটি শিক্ষার্থীদের উপর ভুল বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষকদের ভাবমূর্তি উন্নত করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে তারা তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুস্থ সমাজ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা এবং শিশুদের চরিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছে রোল মডেলের মতো। শিক্ষকদের শালীন চেহারা শিক্ষার্থীদের শেখার পাশাপাশি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিনে ডিউটি চলাকালীন বিহারের কয়েকটি জেলায় কুর্তা-পাজামার মতো ক্যাজুয়াল পোশাকে দেখা গিয়েছে শিক্ষকদের। সম্প্রতি, লক্ষীসরাইয়ের জেলাশাসক সঞ্জয় কুমার সিং বাগুদার পঞ্চায়েতের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তিরস্কার করেন। প্রধান শিক্ষক কুর্তা-পাজামা পরে স্কুলে একটি ‘গামছা’ নিয়ে এসেছিলেন। কারণ, প্রচণ্ড গরমে ঘাম মুছতে গামছায় তার সুবিধা হত। এবার থেকে সেসব আর চলবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct