আপনজন ডেস্ক: করোনা আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই অনেকে তা থেকে সেরে উঠছেন। অনেকের ধারণা, করোনামুক্ত হওয়া মানেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়া। আসলে করোনামুক্ত হওয়ার পর, শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে পোস্ট কোভিড এতোটাই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে যে, তা লং কোভিডে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ করোনা থেকে সের উঠলেও এর প্রভাবে দীর্ঘদিন শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হয়। চিকিৎসকদের মতে, করোনামুক্ত হওয়ার পর লং কোভিডের আশঙ্কা মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, শরীরে ব্যথা, দুর্বলতাসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে লং কোভিডের লক্ষণ। প্রচুর করোনামুক্ত রোগীর শরীরে এমন লক্ষণ দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গের মতোই ভয়ঙ্কর হতে পারে লং কোভিড। সমীক্ষা অনুযায়ী, বিভিন্ন বয়সের মহিলা ও পুরুষের শরীরেই লং কোভিডের প্রভাব দেখা যেতে পারে। যারা সংক্রমণে প্রথম দিকে সচেতন ছিলেন না। দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণের কারণে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল যাদের। এমনকি যারা করোনায় মারাত্মক ভুগেছিলেন এবং দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সুস্থ হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও লং কোভিড হতে পারে মারাত্মক। করোনা পরবর্তী জীবন অনেকের জন্যই হতে পারে বেশ কষ্টকর। এজন্য শরীরের প্রয়োজন যত্ন, বিশ্রাম এবং কখনও চিকিৎসা। কেউ করোনা সংক্রমণের মধ্য দিয়ে যান, তখন শরীরে ব্যথা লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই ব্যথা কমতে গড়ে ৩-৪ সপ্তাহ সময় লাগে। ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো হলো- পিঠ ও কোমরে ব্যথা, জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে ব্যথা করা, পেশীর ব্যথা, শরীরের ব্যথা। এসব ব্যথা গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। গবেষণা বলছে, করোনায় বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের ২০ শতাংশই পরবর্তীতে নার্ভ ব্যথা এবং ব্যথার লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। এজন্য বিশ্রাম নেওয়া এবং নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct