মহম্মদ নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: করোনা আবহে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামনের সারিতে লড়াই করে চলেছেন ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। রোগী পরিষেবায় সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যদি তাঁদের থাকার জায়গার ঠিক না থাকে তা অতন্ত্য দুঃখজনক বিষয়, টা বলার অপেক্ষা রাখে না।। ঠিক এমন পরিস্থিতি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে। সংস্কারের অভাবে বেহাল দশা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের আবাসনগুলোর।
কখন যে ছাদ বা দেওয়ালের চাঙর খসে পড়বে সেই আশংকায় কাটে রাত আবাসিকদের। পাশাপাশি চারপাশে জঙ্গল থাকায় রয়েছে সাপের ভয়। নেই সীমানা পাঁচিলও। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতেলের চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের আবাসনগুলি এমনই বেহাল অবস্থায় ধুঁকছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে আবাসনগুলির এমনই অবস্থা, দেখলে মনে হবে কোনও ভুতুড়ে বাড়ি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালের পাশেই ১১টি আবাসন রয়েছে। যার মধ্যে ছ'টি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। বাকি পাঁচটি নার্সদের। কিন্তু সংস্কারের অভাবে আবাসনগুলির এমনই জরীজীর্ণ দশা হয়েছে যে তা পরিত্যক্ত বাড়ি বললে ভুল হতে পারে। হাসপাতালের ঝা চকচকে নতুন ভবন হয়েছে বছর তিনেক আগে। তখন কেন আবাসনগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তুলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ।
আরও পড়ুন:
বেহাল আবাসনের পাশাপাশি রয়েছে আরও একাধিক সমস্যা। সূত্রের খবর, হাসপাতালের চারপাশে গজিয়ে উঠেছে আগাছার জঙ্গল। স্বাস্থ্য নিয়ে যারা সচেতনতার প্রচার চালান সাধারণ মানুষের মধ্যে, তাঁদেরকেই থাকতে হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। এছাড়া আবাসনের সীমানা পাঁচিল না থাকায় রাতে আতঙ্কে থাকতে হয় তাঁদের। কেন না আবাসনে একাধিকবার চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
এই ব্যাপারে মালদা জেলা পরিষদের শিশু, নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন বলেন, "এর আগে দুটো হাসপাতালের সমস্যার কথা শুনেছিলাম, সেগুলি ঠিক হয়েছে। গ্রামীণ হাসপাতালের আবাসনের কথা শুনলাম। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।"
রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, "এই নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সিওএমএইচ-এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে। আমরা চাই, দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হোক।"
আরও পড়ুন:
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিএমওএইচ অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, আবাসনের ছবি সহ সমস্যার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আবাসনের জন্য অনেককেই বাইরে বাড়ি ভাড়া করে থাকছে। ফের বিষয়টি সিএমওএইচকে জানিয়েছি। পূর্ত(ভবন)দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে উনি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসবেন বলে জানিয়েছেন।