আপনজন ডেস্ক: করোনা এখন রাজধানী দিল্লিতে মারাত্মকভাবে আক্রমণ করেছে। দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১০০ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওযা গেছে বলে জানা গেছে। একদিনে এত বিশাল সংখ্যক করোনা আক্রান্তের ঘটনা িই বচরের মধ্যে রেকর্ড।
রাজধানীতে একদিনে লক্ষাধিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। তারপরই এই পরিসংখ্যান সামনে আসতে শুরু করে। সর্বশেষে ৫,০০০ জনের বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছিল গত ২৭ নভেম্বর। তখন একদিনে পাওয়া গেছিল ৫,৪৮২ করোনা সংক্রমণ। এই সংক্রমণের ফলে দিল্লিতে রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারি জারি থাকবে।
দিল্লি সরকার বলছে, হঠাৎ করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবং সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি থাকায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত মাস থেকেই দিল্লিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সে কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলো দিল্লি প্রশাসন।
এর আগে গত শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের কথা এখনো ভাবা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন:
সোমবার দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৪৮ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১৫ জন। রাত্রিকালীন কারফিউয়ের সময় ট্রাফিক চলাচল বন্ধ থাকবে না। এছাড়া ই-পাস সঙ্গে থাকলে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
মুদি দোকানের জিনিসপত্র, শাক-সবজি, দুধ এবং ওষুধ কেনার জন্য যেসব ব্যবসায়ীকে কয়েক ঘণ্টা ধরে যাতায়াত করতে হবে তাদের কাছেও ই-পাস থাকতে হবে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদেরও নিরাপদে চলাফেরার জন্য এই ই-পাস সঙ্গে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:
বেসরকারি চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য মেডিবেল স্টাফদের চলাফেরার জন্য আইডি কার্ড সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক। গর্ভবতী নারী এবং জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন এমন লোকজন এসব নিয়মের বাইরে থাকবেন।