মহম্মদ নাজিম আক্তার,চাঁচল : শুভেন্দুর দল বদলে তৃণমূল কংগ্রেসের জোড়া ফুল মুড়বে না এই দাবি তুলছেন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের নেতা-নেতৃত্বরা।একুশের বিধানসভার আগে তৃণমূল কংগ্রেস নিজস্ব শাখা-সংগঠন মজবুত রাখতে ভোটের লড়াইয়ে নেমেই পড়েছেন।সোমবার মালদহের চাঁচল বিধানসভার খরবা অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন।
এদিন খরবা হরিনারায়ণ এগ্রিল হাইস্কুলে ওই কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন,জেলা সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম,জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক জহুর আহমেদ,চাঁচল-১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি সচীদাননন্দ চক্রবর্তী,স্থানীয় দুই জেলাপরিষদ এটিএম রফিকুল হোসেন ও সামিউল ইসলাম সহ স্থানীয় হাজারো তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকেরা।
এদিন কর্মী সম্মেলনের জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন,সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে যতই দলবদলের কাহিনী দর্শকদের সামনে তুলে ধরুক না কেন মালদার মাটিতে বিজেপি,বাম-কং জোট ও মিম কোনো প্রভাবই ফেলতে পারবে না।বিজেপি একটি সাম্প্রদায়িক দল তা বাংলার জনগণ বুঝতে পারছেন।তিনি আরোও বলেন,মিম যতই সংখ্যালঘু দরদি বলে প্রচার করূক না কেন,মালদা তে একটিও আসন পাবেনা।
মালদা জেলা সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন,কৃষকরা নয়া কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবিতে ৩৩ দিন ধরে রাজধানীতে ধর্ণায় বসে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের সাথে কথা বলারও প্রয়োজনবোধ করেন না।
বিহারের প্রভাব বাংলাতেও পরবে বলে আশাবাদী হাইদ্রাবাদি দল মিম।ইতিমধ্যে চাঁচল বিধানসভায় সংগঠন গোছাতে শুরু করেছে তারা।অঞ্চলে অঞ্চলে চলছে মিমের কর্মী সভাও।হাজার হাজার মানুষ মিমের সাথে যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন মালদা জেলা মিম পার্টির আহ্বায়ক মতিউর রহমান।বছরের শুরুতেই যোগদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চাঁচল বিধানসভার কংগ্রেসের বিধায়ক আসিফ মেহবুব বলেন,চাঁচল বিধানসভা কংগ্রেসের গড়।যতই বিজেপি ও তৃণমূল দলবদলের নাটক করূক না কেন,চাঁচলের মানুষ বাম-কং জোটকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct