আপনজন ডেস্ক: শিয়রে কড়া নাড়ছে বিধানসভা ভোট। এই সময় ঝাঁকে ঝাঁকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা বাংলা এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে নিশানা করছেন। তার মোকাবিলা করতে একের পর এক জনমুখী কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জনগণের নানা সমস্যা দূরীকরণে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু করে কয়েক দিনের মধ্যে বিপুল সংখ্যক নাম নথিভুক্ত হয়েছে। ব্যাপক সাড়া পেয়ে উজ্জীবিত তৃণমূল। যেভাবে দলে দলে মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরগুলিতে ভিড় জমাচ্ছেন তাতে জনসংযোগ বেড়েই চলেছে। কিন্তু এতেই থামতে চাইছেন না মমতা। বিজেপি যাতে কোনওভাবেই জনসংযোগের সুযোগ না পায় তার জন্য একের পর কর্মূচি ঘোষণা করেই চলেছেন। ‘দুয়ারে সরকার’-এর পর এবার ঘোষণা করলেন ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি।
বীরভূমের বোলপুরে প্রশাসনিক সভায় সোমবার ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাড়ায় ছোট ছোট যে সব সমস্যা রয়েছে তা দূর করতে এবার সরাসরি পাড়ায় পাড়ায় শিবির বসানো হচ্ছে। প্রতিটি পাড়ার মানুষদের মুশকিল আসান হয়ে উঠবে ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে এই ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি শুরু হবে। চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ বিষয়ে রাঝ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১ জানুয়ারি।
‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির বিষয়ে ম্যুখমন্ত্রী নিজেই জানান, পাড়ায় হয়তো জল নিকাশির জন্য একটা ছোট কালভার্টের প্রয়োজন বা রাস্তায় সমস্যা— এ ধরণের ছোটখাট সমস্যার সমাধান করা হবে পাড়ায় বসেই।
মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘দুয়ারে সরকার’–এর পাশাপাশি চলবে নতুন কর্মসূচি ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ও। এলাকাভিত্তিক ছোট ছোট সমস্যায় সমাধান করা হবে ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির মাধ্যমে। উদাহরণ হিসেবে বলেন, হাসপাতাল থাকলেও অ্যাম্বুলেন্স নেই, পাইপলাইন থাকরেও পানীয় জল আসে না বা স্কুলে শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন— এমন কিছু সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে এই কর্মসূচিতে।
সেই সঙ্গে মুখ্যসচিব ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। তিনি জানান, মোট ৬০৯টি শিবিরে ৫ লক্ষ মানুষ গিয়েছেন। ৩ লক্ষের বেশি মানুষ কিছু না কিছু পরিষেবা চেয়ে আবেদনপত্র দিয়েছেন। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ তাদের আশা মতো পরিষেবা পেয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চেয়ে ৮৭ হাজার ৯১৯টি আবেদন গৃহীত হয়েছে। তার মধ্যে ২৮ হাজার ২৩৬টি পরিবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড পেয়েছেন।
এদিন বীরভূম জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় গার্মেন্টস হাব ‘সাজবিতান’, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো, নদিয়ার তেহট্টে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ক্রীড়াঙ্গনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন প্রভৃতি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct