আপনজন ডেস্ক: এবার বন্দুকবাজদের কবলে পড়ল আফ্রিকার দেশ ইথওিপিয়া। ইথিওপিয়ায় একজন বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছে শতাধিক নাগরিক। দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা জানান, বুধবার ইথিওপিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের বেনিসানগুল-গুমুজ অঞ্চলের বেকোজা গ্রামে এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। ওই অঞ্চলটিতে গুমুজসহ আফ্রিকার দ্বিতীয় বেশ কিছু ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বসবাস। আফ্রিকার দ্বিতীয় জনবহুল দেশটিতে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট আবি আহমেদ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোর সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাতের ঘটনা ঘটছে।
আগামী বছর দেশটির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে উঠেছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের টিগরে অঞ্চলে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইথিওপিয়ার সামরিক বাহিনী বিদ্রোহী দলগুলোর সাথে সংঘাতে লিপ্ত। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৫০,০০০ জন বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইথিওপিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের পোরুস সীমান্তের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সোমালিয়ার যোদ্ধাদের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। গাসু দুগাজ নামের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সরকার অবশ্যই বেনিসানগুল – গুমুজ অঞ্চলের হামলার কথা জানে।
ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন হামলা রোধ করার জন্য দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানিয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এই অঞ্চলে মানবাধিকার সুরক্ষা দুর্বল হচ্ছে।’ আরও ৩৬ জন লোক বন্দুক ও তীরের ক্ষত থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার বনিশাঙ্গুল গুমুজ-এ ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অবি আহমেদ মেটেকেল পরিদর্শন করার একদিন পরই এই হামলা শুরু হয় এবং এই অঞ্চলে পুনরাবৃত্তি হামলা বন্ধ করার জন্য তার পরিকল্পনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবী আহমেদ ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরে সরকার পন্থী ও বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সংঘর্ষ চরছে। এটি তারই জের বলে মনে করা হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct