আপনজন ডেস্ক: বিশ্বের বেশিরভাগ ফুটবলার স্পেনের অন্যতম সেরা ক্লাব বার্সেলোনা কিংবা রিয়াল মাদ্রিদে সালাহও ব্যতিক্রমী কিছু করেননি। তাই ক'দিন আগে সাফ জানিয়েছিলেন, একদিন হয়তো তাঁকে ওই দুই ক্লাবে তাঁকে দেখা যেতেও পারে। আলোচনাটা সেখানেই থেমে যেতে পারত। কিন্তু শনিবার লিগের ম্যাচে সালাহকে মূল একাদশে রাখেননি লিভারপুল কোচ ক্লপ। আর তাতেই সবাই এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। লিভারপুলে নাকি সালাহর দিন ঘনিয়ে এসেছে, লিভারপুল তাঁকে বিক্রি করে দিতে চায়। মিশর জাতীয় দলে সালাহর প্রাক্তন সতীর্থ মুহাম্মদ আবুত্রিকাও সালাহকে নিয়ে শুরু হওয়া গুঞ্জনের পালে হাওয়া দিয়েছেন।
ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে লিভারপুলের ৭-০ গোলে জেতা ম্যাচে মূল একাদশে জায়গা না পেলেও সালাহ আলোচনায় ছিলেন। বদলি নেমে প্রথমে ফিরমিনোকে দিয়ে গোল করিয়েছেন, পরে নিজেও করেছেন দুই গোল। পরে সালাহকে বেঞ্চে কেন রাখা হল, এ প্রশ্নের উত্তর হাসতে হাসতেই ক্লপ বলেন, 'টানা চার ম্যাচ খেলা সালাহকে বিশ্রাম দেওয়ার সময় পাচ্ছিলেন না। ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচটাই তাঁর কাছে ভালো সুযোগ মনে হয়েছিল।'
ওদিকে সালাহ শুধু রিয়াল বা বার্সায় যাওয়া নিয়েই কথা বলেননি, ক্লপের ব্যাপারে হতাশার কথাও জানিয়েছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মূলত তরুণদের নামিয়েছিলেন ক্লপ। অভিজ্ঞতার ছাপ রাখার জন্য মাঠে ছিলেন সালাহ। এমন ম্যাচে অধিনায়ক হবেন, এমন আশা নিয়েই নেমেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু সালাহ নয়, লিভারপুলে জন্ম নেওয়া ২১ বছর বয়সী ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আরনল্ডই পরেন আর্মব্যান্ড। এ ঘটনায় যে হতাশ হয়েছেন, সেটা এএসের কাছে স্বীকার করে নিয়েছেন সালাহ। এরপরই ক্রিস্টাল প্যালেসের ম্যাচে একাদশে দেখা যায়নি তাঁকে। এতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে লিভারপুলে সালাহ সুখে নেই—গুঞ্জন। সালাহর প্রাক্তন সতীর্থ আবুত্রিকা জানিয়েছেন, বর্তমান ক্লাব নিয়ে অসন্তুষ্টি সালাহ অনেক দিন ধরেই পোষণ করছেন, ‘লিভারপুলে ওর অবস্থা জানার জন্য আমি সালাহকে ফোন করেছিলাম। ও সেখানে সুখী না। হয়তো ক্লাব ছাড়তে পারেন।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct