আপনজন ডেস্ক: মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা অত্যাচারের খবর নতুন নয়। এনিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিশ্বের বিবিণ্ন মানবাধিকার সংগঠন মায়ানমারের রাখোইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অত্যাচারের ন্দায় সরব হয়েছে। তারপরও রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার বন্ধ হয়নি। সরকার ও সামরিক বাহিনীর নির্যাতন থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন দলের ১০৪ জন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মেম্বার। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা থেকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান তারা।
যৌথ বিবৃতিতে ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলি এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, মায়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে বহু বছর ধরে এমপিরা সতর্ক করে আসছেন। রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার, তাদের নাগরিকত্ব হরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তারা মায়ানমার এবং বাংলাদেশে নরকের জীবনযাপন করছে। বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ‘আইসিজে’তে করা মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের উচিৎ বিশ্বমঞ্চে মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখতে নিজের দায়িত্ব পালন করা। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে বিশ্বের দমনমূলক সরকারগুলোর কাছে বাজে একটা বার্তা যাবে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মাধ্যমে ২০১৯ সালে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন কঠোরভাবে সুপারিশ করে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর পাঠানো শতাধিক এমপির সই করা চিঠিতে বলা হয়, ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং আন্তর্জাতিক আইন রক্ষাই শুধু নয়, মিয়ানমার সরকার এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক পরবর্তী গণহত্যা বন্ধে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি দেয়া বন্ধ করা জরুরি। উল্লেখ্য, মায়ানমার সেনাদের অত্যাচারের শিকার হয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct