আপনজন ডেস্ক: সেতু সংস্কারের দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল এলাকার মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার মিনাখাঁ বিধানসভার হাড়োয়ার বকজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাড়ুবালা এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কুড়িটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এই রাস্তার মধ্যে বারোমেসিয়া এলাকায় অবস্থিত এই সেতুটি। সেতুটি গত এগারো মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। তার উপর দিয়ে যাতায়াত করার মতো পরিস্থিতি নেই। সাধারণ মানুষ ও বকজুড়ি পঞ্চায়েতের মানুষের দাবি, ব্লক ও জেলার বিভাগীয় দফতরে বার বার লিখিত আবেদন জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহ হয়নি। তাই আমাদের এই আন্দোলন।]
স্থানীয় আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, এলাকাটি কৃষি প্রধান। ফলে কৃষকরা জমিতি ফসল ফলিয়ে বাজারে বিক্রয় করতে নিয়ে যেতে পারছেন না। এলাকার সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। এই এলাকার মধ্যে চল্লিশটি ইটভাটা শিল্প আছে, যে শিল্পের সঙ্গে প্রায় দশ হাজার মানুষের রুটি রুজি জড়িয়ে আছে। এই সেতু ভেঙে পড়ে থাকার কারণে ইটভাঁটা শিল্পও বন্ধের মুখে। বার বার সেতু মেরামতের দাবি জানিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এদিন সকাল নয়টা থেকে হাড়োয়া-কলকাতা ব্যস্ততম রাস্তা দীর্ঘক্ষণ ধরে অবরোধ করে রাখে। অবরোধকারীদের দাবি, অবিলম্বে সেতুটি মেরামত করতে হবে না হলে আমরা আরো বড় আন্দোলনের পাশে যাব।
পাশাপাশি তাদের অভিযোগ মিনাখাঁর বিধায়িকা উষারানী মণ্ডল গত বিধানসভার ভোট নিতে এসেছিলেন। তারপর গত পাঁচ বছর তাকে আর দেখা যায়নি এই এলাকায়। হাড়োয়া নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক হাফেজ আজিজউদ্দিনও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দীর্ঘক্ষণ অবরোধের পর হাড়োয়ার বিডিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেতু মেরামতের বিষয়ে আশ্বস্ত করলে অবরোধ উঠে যায়। এদিন মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানী মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এগারো মাস ধরে এই সেতুটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। আমরা বিভিন্ন দফতরে জানিয়েছি, ইঞ্জিনিয়ার দেখে গিয়েছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য এই কাজ চালু করা যায়নি। খুব শিগগিরই এই সেতুর কাজ শুরু হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct