ওবাইদুল্লা লস্কর, ডায়মন্ড হারবার: সুদের কারবারিকে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল রায়দিঘি থানার পুলিশ। ধৃত সাহাবুদ্দিন সেখ স্থানীয় গিলারছাঁট এলাকার বাসিন্দা। জেরায় ভেঙে পড়ে নিজের অপরাধের কথা সাহাবুদ্দিন স্বীকার করে নিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে পেশ করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না সেদিকটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাতে রাস্তার পাশে ফাঁকা মাঠে কাছেদ বৈদ্যের রক্তাত্ত দেহ উদ্ধারের পর ছেলে মাফুজ বৈদ্যের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল একটি রক্তমাখা ইঁট। এরপর পুলিশ নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সাহাবুদ্দিনের নাম জানতে পারে। তবে ঘটনার পর থেকে এলাকা থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল সাহাবুদ্দিন। ফলে সন্দেহ আরও গাঢ় হয় পুলিশের। সূত্র মারফৎ শুক্রবার রাতে মন্দিরবাজার এলাকা থেকে সাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে সুদ কারবারী কাছেদের কাছ থেকে চড়া সুদে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল সাহাবুদ্দিন। কিন্তু সেই টাকা দিতে পারছিল না। আর তা নিয়েই দু’জনের মধ্যে বেশকিছু দিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। গত মঙ্গলবার সকালেও টাকা চাইতে গিয়ে টাকা না পেয়ে মাথা গরম করে ফেলেন কাছেদ। শুরু হয় বাদানুবাদ। আচমকা কাছেদ সাহাবুদ্দিনকে চড় মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখনকার মত প্রতিবেশীরা বিষয়টি মিটিয়ে দিলেও রাতে টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে কাছেদকে ফোন করে গ্রামের পাশে ফাঁকা মাঠে ডাকে সাহাবুদ্দিন। এরপর কাছেদের মুখে ও মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে খুন করে সাহাবুদ্দিন। সুন্দরবন পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্তোষ মন্ডল জানান, 'ধারের টাকা মেরে দেওয়ার চিন্তাভাবনা থেকেই কাছেদকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি খুনের পর দেহ লোপাটের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। ধৃতকে জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct