আপনজন ডেস্ক: করোনা অতিমারি থেকে এখন সেরে ওঠেনি পৃথিবী। এবার ফের নতুন এক বিরল ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিতে শুরু করেছে। নাম 'চাপার'। বলিভিয়া থেকে এর উৎপত্তি। আমেরিকার ডিজিস কন্টোল এবং প্রিভেন্ট বিভাগের বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাপারও আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির দিকে ছড়ায়। এই ভাইরাসের সংক্রমণে ইবোলার মত রক্তরক্ষণ, জ্বর হতে পারে।
২০০৪ সালে বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজের পূর্বাংশ অবস্থিত চাপার এলাকায় এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল প্রথম। তাই এলাকার নাম অনুযায়ী ভাইরাসটির নাম হয় চাপার। লা লাজ থেকে অঞ্চলটি ৩৭০ মাইল দূরে রয়েছে। ইবোলার মতোই চাপারের প্রাদুর্ভাব বন্ধ হয়ে যায়।
তবে ২০১৯ সালে ফের এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তখন লা পাজায় এই ভাইরাসে পাঁচ জন আক্রান্ত হন। মারা যান তিন জন। আক্রান্তদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন ৩ জন। যাদের ২ জন ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন।
মার্কিন বিশেষজ্ঞ ক্যাটলিন কোসাবুম জানাচ্ছেন, সম্ভবত ‘বডি ফ্লুইড’-এর মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। এছাড়াও, বিশ্বাস করা হয় যে ভাইরাসটি ইঁদুর থেকে সৃষ্টি হয়েই মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এরপরে এটা মানুষের থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পেটব্যথা, বমি, চোখব্যথা, ত্বকজ্বালা, চুলকানি, ঘা হবে। সঙ্গে থাকে হেমারেজিক জ্বর। রক্ত, প্রস্রাব, বীর্য, লালার মতো শারীরিক তরলের মাধ্যমে এই ভাইরাস অন্য মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct