আপনজন ডেস্ক : বছর পরলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেবেন জো বাইডেন। আর তাই পারমাণিবক চুক্তিতে ফেরার জন্য প্রস্তাব দিল ইরান। তবে শর্ত রয়েছে। ইরানে ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেই তবেই তারা চুক্তিতে ফিরতে পারে। নির্বাচনী প্রচারে এমনিতেই কয়েকটি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন বলে জানিয়ে ছিলেন জো। তাই সেই কথাকে মাথায় রেখেই ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলেছেন, 'নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে তার দেশ। মাত্র তিনটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খুব দ্রুতই বাইডেন সেই পথ সুগম করে দিতে পারেন।'
জাভেদ জারিফ বলেন, ৩০বছর ধরে তিনি বাইডেনকে চেনে। বিদেশ সম্পর্কে তিনি একজন অভিজ্ঞ। তাই বাইডেন যদি আমেরিকার প্রতিশ্রুতি পূরণে ইচ্ছুক হন তাহলে আমরাও অবিলম্বে চুক্তির প্রতিশ্রুতিতে ফিরে যাবো... আর চুক্তির কাঠামোর মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু করাও সম্ভব হবে। আমেরিকা কীভাবে চুক্তিতে ফিরতে পারে তা নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত। পরবর্তী কয়েক মাসে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তিনটি নির্বাহী আদেশ দিয়ে বাইডেন সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন।’
জো বাইডেন ইতোমধ্যে পারমাণবিক চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ইরানের আঞ্চলিক কার্যক্রম ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে চাইবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও ইরানের বিদেশ মন্ত্রী জাভেদ জারিফ অবশ্য আমেরিকার কাছ থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ আদায়ের ওপর জোর দেননি। তবে এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছিলেন, কেবল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নয়, এর কারণে তেহরানের যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণও আমেরিকাকে দিতে হবে।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে একটি যুগান্তকারী পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করে তেহরান। চুক্তি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি পেলেও বোমা তৈরি থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct