আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন মাদ্রাসা বোর্ডে চাকরি করতেন। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৭ সালের বেতন পাননি। তার উপর লকডাউনের জন্য মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় চাকরি নেই। আর মসজিদ বন্ধ থাকায় ইমামতির কাজ চলে যায়। এই অবস্থায় ছ সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন যোগী রাজ্যের এক ইমাম। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শিমলি জেলায়।
হাফিজ ওয়াসিম নামে ওই ইমাম বাগপত জেলার ছাপরৌলি গ্রামে এক মসজিদে ইমামতির কাজ করতেন। যদিও তিনি উত্তরপ্রদেশ সরকারের মাদ্রাসা বোর্ডের কর কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার মার্চ মাসে লকডাউন ঘোষণার করার পর থেকে তার মাদ্রাসায় চাকরি ও ইমামমতি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তার আয়ের একমাত্র পথ পুরোপুরি বন্ধ হওয়ায় বিপদের মধ্যে পড়েন ইমাম। দীর্ঘদিন এভাবে চলার পর আর সংসার চালাতে পারছিলেন না। ফলে উপায় পেয়ে অবসাদে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। সোমবার তার পরিবারের লোকজন বাইরে যান তখন তিনি ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দেন। তার এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে।
এ ব্যাপারে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের শিমলি ইউনিটের নেতা মাওলানা সাজিদ কাসমি বলেন, খুবই অর্থনৈতিক দৈন্যতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন ওই ইমাম। ইমামতি ও মাদ্রাসা শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় তিনি সব্জি বিক্রি করছিলেন।উত্তর প্রদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন মাদ্রাসা বোর্ডে চাকিরি করা ওই ইমাম ২০১৬ ও ২০১৭ সালের বেতন পাননি। বেতন না পাওয়ায় চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েন ওয়াসিম। আর লকডাউনে সব আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায় অবসাদে ভুগতে থাকেন। সেটাই তাকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct