আপনজন ডেস্ক: সম্প্রতি ফ্রান্সে সংঘটিত আমাদের প্রাণপ্রিয় আদর্শ হযরত মুহাম্মদের সা. চরিত্রের জন্য অবমাননাকর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও ফরাসি সরকার কর্তৃক তা সমর্থন করার প্রতিবাদে বুধবার এক ধিক্কার মিছিল অনুষ্ঠিত হয় ধর্মতলায়। সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সভা হয় টিপু সুলতান মসজিদ সংলগ্ন স্টেটসম্যান হাউসের সামনে। একদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্টে অন্যদিকে যে সব যুবক পথভ্রষ্ট হয়ে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালাচ্ছে তাদের চরম নিন্দা জানানো হয়।
এই প্রতিবাদ সভায় সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেন, কোনো যুবক প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে পথভ্রষ্ট কিছু যুবকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালে তাকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। কারণ, সব সহিংসতাই সন্ত্রাস। তবে সহিংসতা মুসলিম করলে সন্ত্রাস আর অমুসলিম করলে বন্দুকবাজ! এই তকমার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন কামরুজ্জামান। এ প্রসঙ্গে বলে, অশ্বেতাঙ্গরা করলে সন্ত্রাস আর শ্বেতাঙ্গরা করলে উগ্র জাতীয়তাবাদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
তার মতে বেসরকারি সংগঠন সহিংসতা করলে সন্ত্রাস আর সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুকবাজ করলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। আইনের অনুশাসন না মেনে প্রতিটি হত্যা সন্ত্রাস। সন্ত্রাসের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট কোনো সরকার অথবা গণমাধ্যমের মালিক করতে পারে না। আমরা মনে করি, উগ্র জাতীয়তাবাদী হোক অথবা উগ্র মৌলবাদী সহিংসতা অপরকে সন্ত্রস্ত করতে করা হয়। প্রতিটি সহিংসতা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আমরা প্রতিটি সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা করছি।
যারা নিজেদের ধর্মাচরণের যৌক্তিকতা, ঐতিহাসিকতা ও সত্যতা বিচার করতে চায়না, তারা অপরের ধর্ম ও জীবন দর্শন বিচার করার কোনো নৈতিক অধিকার রাখে না।
আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করব, অপরের ধর্ম ও জীবন দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজন জাতীয় সংহতি ও আন্তর্জাতিক ঐক্য।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের নিন্দায় মুখর হয়ে নানা প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে যুব ফেডারেশন। এরপর জমায়েত হয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর কুশপুতুল পোড়ায়।
এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশে বেশ কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী খলিল মল্লিক সহ অন্যান্যরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct