প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কীভাবে সফল হওয়া যায় তার প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণ, গাউড ও পরামর্শ। সেই কাজে নিয়োজিত চাকরি পরীক্ষার রাজ্যের অন্যতম সেরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অ্যাকাডেমিক অ্যাসেসিয়েশন। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান কর্ণধার ও বিশিষ্ট কেরিয়ার পরামর্শদাতা সামিম সরকার শুরু করেছেন নতুন কলাম। আজ তৃতীয় কিস্তি।
লকডাউন চলাকালীন ৪ ই জুন প্রকাশিত হল মিসলেনিয়াস – ২০১৮ মেনস পরীক্ষার ফল, এর আগে ২৮ শে মে প্রকাশিত হয়েছে আই ডি ও লিখিত পরীক্ষার ফল, এ ছাড়াও ১৪ ই মে প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ সালের রাজ্য পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষার ইন্টারভিউয়ের তালিকা। তার ও আগে ১৬ ই এপ্রিল এক্সাইজ কনস্টেবল প্রিলি পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। গত অগাস্ট প্রকাশিত হল ফুড সাব ইন্সপেক্টর পরীক্ষার ইন্টারভিউয়ের তালিকা। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, থেমে নেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ কর্ম। নরমালসি রিষ্টোর হলেই শুরু হবে ইন্টারভিউয় বা পরের পর্যায়ের পরীক্ষা। কিন্তু আমরা তো রয়েছি থেমে, নীরব নিশ্চল। একের পর এক পরীক্ষা স্থগিত হচ্ছে, আর আমরা হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছি, করছি বিলাপ। একবারও ভেবে দেখছিনা প্রস্তুতির জন্য পাচ্ছি বাড়তি কিছু সময়। অমূল্য কিছু সময়। যে সমস্যা আমাদের সামনে উপনীত হয়েছে, সে সমস্যাকেই আমরা চাইলে সৌভাগ্যে রূপান্তরিত করতে পারি। আর তা করার জন্য জা চাই তা হল – সদিচ্ছা ও পজিটিভ অ্যাটিটিউড।
কমপ্লিট লকডাউনের সময় একমাত্র চিত্ত বিক্ষেপকারী উপাদান হল সোশ্যাল মিডিয়া। সব কাজকর্ম বন্ধ থাকলেও সামাজিক মাধ্যমগুলির দৌরাত্ম্য বেড়েছে অনেক বেশী। তাতে গা ভাসালে আখেরে লাভ কিছুই হবে না, অপচয় হবে অমূল্য এই সময়ের ছাত্রছাত্রীদের অতি অবশ্যই এখন মানসিক প্রলোভন থেকে। সোস্যাল মিডিয়ার হাতছানিকে উপেক্ষা করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি চিত্তবিক্ষেপকারী অ্যাপসগুলিকে মোবাইল থেকে ডিলিট করে দেওয়া যায়। ছাত্রছাত্রীদের অতি অবশ্যই জীবনের প্রায়োরিটিকে প্রাধান্য দিতে হবে। লক্ষ্য যদি হয় সরকারী চাকরী পাওয়া, তাহলে সব কিছুত্যাগ করে পরিকল্পনামাফিক প্রস্তুতি চালাতে হবে। সাফল্যের একমাত্র মন্ত্র হল সঠিক প্রস্তৃতি। তাই কাটিয়ে একনাগাড়ে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে। বহু ছাত্রছাত্রী আবার ইউটিউবের ভিডিও দেখে প্রস্তুতি চালাতে অভ্যন্ত।এ প্রসঙ্গে বলা যায়, যেকোন বিষয়ের ওপর হাজার হাজার ভিডিও উপলব্ধ যার মধ্যে শুধুমাত্র দু'এক শতাংশ ভিডিও কিছুটা কাজের, বাকিগুলির না আছে কোনো কনটেন্ট, না আছে গুনগতমান। বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই ভাল-খারাপ বোধটাই নেই। তাদের এটা বোঝার সামর্থ্য নেই যে কোনটা কাজের, আর কোনটা অকাজের। তাই ছাত্রছাত্রীদের ইউটিউব এড়িয়ে যাওয়াই বাঞ্ছনীয়। কেননা ছাপার অক্ষরে মুদ্রিত বইয়ের অথেনটিসিটি অতি অবশ্যই অনেক বেশী। তাই পড়াশুনার মাধ্যম হোক বই, মোবাইল নয়।
পড়ুন:
সামিম সরকারের টিপস: করোনা আবহেও পরীক্ষা প্রস্তুতি চলতে থাকুক জোরকদমে
সামিম সরকারের টিপস: হাজির সুবর্ণ সুযোগ, চাই সদ্ব্যবহার
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct