আপনজন ডেস্ক: আজ ১৫ সেপ্টেম্বর। মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে মার্কিন মধ্যস্থতায় হল আরও এক ঐতিহাসিক চুক্তি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আমিরাত-বাহরিনের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে আবদ্ধ হল ইসরাইল। ডিল অব সেঞ্চুরি-কে এই চুক্তি মাইলেজ পাইয়ে দেওয়ার আশাতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্ধু দেশ ইসরাইলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দাবি মতো এতে মুসলিম দেশগুলির সঙ্গে সখ্য বেড়ে যাবেষ তাতে ফিলিস্তিনি ইস্যুকে চিরতরের সমাধান করে দিতে পারবে আমেরিকা।
এদিন হোয়াইট হাউসে যুদ্ধবাজ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গাল্ফ অঞ্চলের দেশদুটির বিদেশমন্ত্রীরা। আমিরাতের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জাইদ আল নাহান এবং বাহরিনের বিদেশমন্ত্রী ড. আবদুল্লাতিফ বিন রাশিদ আল জায়েন। ভারতীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ হোয়াইট হাউজের তিন পক্ষের মধ্য এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এদিকে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই প্রতিবাদের গর্জে ওঠে ফিলিস্তিনিরা। ট্রাম্প, নেতানিয়াহু, ও আমিরাত ও বাহরিনের বাদশাহর ছবি হাতে বিক্ষোভ শুরু করে। ফিলিস্তিনি মুসলামদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে বলে স্লোগান দিতে থাকেন অধিকার কর্মীরা। এর আগে আন্তর্জাতিক আলেমদের সংগঠনও এই চুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে আমিরাত ও বাহরিনকে আহ্বান জানিয়ে ছিল।
চুক্তির আগে, আল-আকসা মসজিদে নাগরিকদের প্রবেশের জন্য ইসরাইলের কাছে প্রস্তাব রেখেছে আমিরাত ও বাহরিন।
এদিন চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প তাঁর ভাষণে বলেন, আবর বিশ্বের আরও ৫-৬টি দেশ ইসরাইল শান্তি চুক্তিতে আসতে প্রস্তুত। এই ভাবেই ফিলিস্তিনি সমস্যা সুষ্ঠভাবে সমাধান করা সম্ভব। তাতে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি স্থাপন হবে।
তিনি বলেন,"আমরা একটি স্মার্ট সমাধানের দরজা দিয়ে যাচ্ছি এবং সঠিক সময়ে ফিলিস্তিনিরাও একেবারে সদস্য হয়ে উঠবে।" নেতানিয়াহুর পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, " বিবি (নেতানিয়াহুর ডাক নাম) যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।” পশ্চিম তীরে ইসরাইলের জমি দখল সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, "আমরা এখনই সে বিষয়ে কথা বলছি না।" তিনি আরও বলেন, "আমরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কথা বলছি, তারাও এতে যোগ দেবে।"
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct