মাফরুজা মোল্লা, ক্যানিং, আপনজন: আগামী ২০৩০ এর মধ্যে টিবি মুক্ত বাংলা গড়ার ডাক দিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি যক্ষ্মা রোগ দূরিকরণের জন্য ইতিমধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে গ্রামীণ চিকিৎসকদের কে সচেতন করতে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে মহকুমা এলাকার অসংখ্য গ্রামীণ চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।প্রাথমিক ভাবে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ, এবং কি ভাবে চিকিৎসা করতে হবে সেই সম্পর্কিত সচেতন করা হয়। উল্লেখ্য সেই লক্ষ্যমাত্র ধার্য্য করে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মারোগ নির্মূল ক্যানিং ১ ব্লক গড়তে সাধারণ মানুষ কে আহ্বান জানালেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের এমওটিসি(মেডিকেল অফিসার টিউবার কিউলোসিস কন্ট্রোল )সমরেন্দ্র নাথ রায়। সভায় টিবি মুক্ত ক্যানিং ব্লক গড়া ডাক দিয়ে পাশে থাকার আহ্বান জানান চিকিৎসক ও গ্রামীণ চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২০২০ সালে সারা দেশে টিবি রোগে ৭৬ হাজারের অধিক মানুষ মারা গিয়েছেন। ক্যানিং ১ ব্লকে মারাগিয়েছে ২০ জনের অধিক। যা করোনা আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা থেকে বেশি।তা ছাড়াও সমগ্র দেশে আক্রান্তের সংখ্যাটা প্রায় মৃতের সংখ্যার ১০ গুণ অর্থাৎ প্রায় আট লক্ষ। ফলে যাতে করে টিবি রোগে আর একটিও মানুষের মৃত্যু না হয় সেই লক্ষ্যমাত্র নিয়ে টিবি মুক্ত ক্যানিং ১ ব্লক গড়ার কাজ শুরু করেছে চিকিৎসক ও গ্রামীণ চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবী আগামী ২০৩০ এ যেমন টিবি মুক্ত বাংলা তথা দেশ গড়ে উঠবে,তার আগেই আমরা ক্যানিং ১ ব্লক টিবি মুক্ত করতে করতে বদ্ধ পরিকর এবং সেই লক্ষ্যে প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে কাজ শুরু হয়েছে।বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমওটিসি (মেডিকেল অফিসার টিউবার কিউলোসিস কন্ট্রোল )সমরেন্দ্র নাথ রায়,সিনিয়র ট্রিটমেন্ট সুপারভাইজার কল্যাণ চক্রবর্তী, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার বসুমিতা আঢ্যি,সৌরভ কুমার দাস,দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পোগ্রেসিভ গ্রামীণ চিকিৎসক সমিতির সাধারন সম্পাদক আশরাফ হালদার প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct