মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: আর কয়েকদিন পর রং এর উৎসবে মেতে উঠবে গোটা দেশ । কিন্তু রং নিয়ে বরাবরই মানুষকে দুশ্চিন্তায় কাটাতে হয়। কিন্তু সেই রং যদি হয় ভেষজ তাহলে তো কোন চিন্তাই নেই। কারণ গত কয়েক বছর ধরেই চাহিদা বেড়েছে ভেষজ রঙের। যেমন পালং শাক থেকে সবুজ রং গাজর থেকে কমলা, গাঁদা ফুলের পাপড়ি ও হলুদ দিয়ে হলুদ রং এবং জবা ফুল ও বিট দিয়ে গোলাপি রং, অপরিচিতা ফুল দিয়ে নীল রং। এমনই জিনিস দিয়ে দোলের আবির তৈরি করে তাক লাগাচ্ছেন মিলিত প্রয়াস সংস্থার কর্মকর্তারা। অনেকেই রাসায়নিক রঙে ভয় পায় ত্বকে যদি কোনরকম সংক্রমণ হয় সেটাও চিন্তার বিষয়। ফলে দলের দিন অনেকেই রং মাখা থেকে বিরত থাকেন আর সেই কারণেই বেড়েছে ভেষজ আবীরের চাহিদা যে আবিরের রং গায়ে মাখলে কোনরকম সংক্রমণ ঘটবে না। এবং অনেকেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে সেই আবির বিক্রি করে নিজেদের স্বনির্ভর করছেন।
এই মিলিত প্রয়াস সংস্থা বিশেষভাবে নানান সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। বসন্ত উৎসবের প্রাক্কালে আবির তৈরিতে আজ পূর্ব বর্ধমান শহরের সদরঘাট চাষীমানা এলাকায় সেখানকার কিছু কিশোর কিশোরীদের নিয়ে এই ফুল শাকসবজি দিয়ে নিজেদের হাতে আবির তৈরি করা শেখাচ্ছেন। সঙ্গে সেই আবির তৈরি দেখতে ভিড় জমিয়েছেন অনেক শিশুরাও। সেই কিশোর কিশোরীদের মনের রং এখন শুধু ফাগুনের রং হয়ে আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার অপেক্ষায়। একদিকে যেমন মহিলারা শিখছেন হাতে তৈরি আবির তেমনি অন্যদিকে সেই আবির তৈরি দেখতে আসার জন্য ভিড় জমিয়েছে অনেক শিশুরাও তাদের মনে উচ্ছ্বাস উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। মিলিত প্রয়াস সংস্থার সম্পাদক প্রতুনু রক্ষিত জানিয়েছেন তাদের এই সংস্থা বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে যেমন যুক্ত থাকে সেই রকমই অসহায় মানুষদের স্বনির্ভর করার তাগিদেও ছুটে বেড়ায়। সেই চিন্তাকে মাথায় রেখে আজ এই এলাকার মহিলাদের ভেষজ আবীর নিজেদের হাতে তৈরি করে স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct