সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: কোনরকম বৈধ নথি ছাড়াই সরকারি এমভিআই পার্কিং থেকে অবৈধভাবে বালি বোঝাই করে রাস্তায় বেরোতেই বালি বোঝায় ট্রাক আটক করল পুলিশ, ঘটনায় গ্রেপ্তার ২, চাঞ্চল্যকর ঘটনা বিষ্ণুপুরে, কিভাবে সরকারি রয়েলটি ছাড়া এআরটিও সই ও সিলমোহর দিয়ে বালির গাড়ি পরিবহনের অনুমতি দিতে পারে উঠছে প্রশ্ন? তবে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত! পূর্ণাঙ্গ তদন্তে আশ্বাস মহকুমা শাসকের । কোনরকম নথি ছাড়াই একটি বালি বোঝাই ট্রাক আটক করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ, গ্রেফতার করা হয় চালক ও খালাসিকে, তারপরেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য, আটক হওয়া গাড়িতে থাকা এক শ্রমিকের দাবি তারা বিষ্ণুপুর এমভিআই জোন থেকে বালি বোঝাই করে হাসনাবাদের দিকে যাচ্ছিল তাদের কাছে কোন বৈধ নথি থাকেনি,তাদের কাছে কাগজ হিসাবে ছিল বিষ্ণুপুর এআরটিও সাহেবের সই ও সিলমোহর দেওয়া একটি কাগজ। সরকারি রয়েলটি দেওয়ার কোনো রকম কাগজ ছাড়াই সেই কাগজে উল্লেখ রয়েছে গাড়ি চালক বিষ্ণুপুর এআরটিও সাহেবের কাছে পরিবহনের অনুমতি চাইছেন, একটি গাড়িতে ওভারলোড বালি আনার জন্য বিষ্ণুপুর এআরটিও ফাইন করে অতিরিক্ত বালি এই একটি গাড়িতে যাতে হাসনাবাদে নিয়ে যেতে পারে। এরপরে এই অনুরোধের পর বিষ্ণুপুর এআরটিও পরিবহনে অনুমতি দেয় এবং কাগজের ওপর সই ও সিলমোহর দিয়ে দেন এআরটিও সাহেব।যদিও বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষের দাবি সরকারি কোনো আইন নেই এইভাবে ওভারলোডেড বালি পরিবহনে পারমিশন দেওয়ার। তবে তিনি জানান এই ঘটনার অভিযোগ তিনি পেয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার অফিসার বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে, সরকারি নিয়ম বিরুদ্ধে কোন কাজ যদি কোন অফিসারও করে তার বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়া হবে।সূত্রের খবর বিষ্ণুপুরের চুরামণিপুরে রয়েছে একটি এমভিআই পার্কিং জোন, এই পার্কিং জোনে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি রয়েলটি ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালি কারবার চলছিল এআরটিও সাহেবের মদতেই।বিষ্ণুপুর এআরটিও সাহেবের কাছে এই অভিযোগের কথা জানতে গেলে তিনি মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি জানান সমস্ত কিছু মহকুমা শাসক কে জানানো হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেবেন মহকুমা শাসক।মহকুমা শাসকের দাবি এই এমভিআই পার্কিংয়ের কতটা বৈধতা রয়েছে সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct