সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: রাজ্য পুলিশের কাছে তল্লাশি করার সময় আগাম কোন অনুমতি বা সাহায্য নিতে হবে না। শুধু তাই নয়, কোথায় তল্লাশি করতে যাচ্ছেন সেই খবর আগাম পুলিশকে দিতে হবে না। ইডি বিভাগ পুরোপুরি গোটা দেশে তদন্ত করার জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনপ্রাপ্ত স্বয়ংক্রিয় ক্ষমতাসীন উইং । কোন রাজ্যের পুলিশের কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নয় ইডি। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে অফিসারদের সঙ্গে রুদ্ধ দ্বার বৈঠকে এই বার্তা দিলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সূত্রের খবর অনুযায়ী রাহুল নবীন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ইডি যে পদক্ষেপ নেবে তা সময়মতো জানিয়ে দেওয়া হবে রাজভবনে রাজ্যপাল কে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এখন থেকে ইডি যেখানে তল্লাশি করতে যাবে ,সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে কমেন্ডেন্ট বা উচ্চপদ মর্যাদার একজন অফিসার থাকবেন। সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী জবানের সংখ্যা বেশি থাকলেও সেখানে উচ্চপদস্থ অফিসার ছিল না। তাই আক্রমণের সময় বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের সময় লেগেছে। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে বনগাঁতে প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করার সময় বাধার সম্মুখীন হলে সেখানে সিআরপিএফের উচ্চপদস্থ অফিসার থাকার দরুন তৎক্ষণাৎ জওয়ানরা লাঠিয়ে উচিয়ে ধেয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে সেখান থেকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। মঙ্গলবার এর সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি ডিরেক্টর এর সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির বৈঠকের সময় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার এর বৈঠকে ইডি অফিসারদের মনোবল বাড়াতে বৈঠকে ডিরেক্টরকে রীতিমতো বলিষ্ঠ রূপ নিতে দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি এনআইএ কাছ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ ও আয়কর দপ্তরের কাছ থেকেও হিসাব বহির্ভূত আয় সম্পর্কে নানা তথ্য নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন ইডি ডিরেক্টর। ইডির সূত্রের দাবি, পলাতক শেখ শাহজাহান গোপন ডেরাতে আশ্রয় নিয়েছে। তাকে কে বা কারা আশ্রয় দিয়েছে, সেই সব ব্যক্তির ওপর কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ম্যারাথন বৈঠকের পর সন্ধ্যায় তিনি যান রাজ্যপালের কাছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct