নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: শেষ রক্ষা আর হল না! মারা গেলেন রাজ্যের বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খান। মঙ্গলবার দুপুর ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ পিয়ারলেস হাসপাতালে মারা গিয়েছেন উস্তাদ রশিদ খান। (ইন্না লিল্লাহি...)। মাত্র ৫৫ বছরেই থেমে গেল উস্তাদ রশিদ খানের উদার্ত কন্ঠস্বর। দেশের সঙ্গীত মহলের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। যিনি ছিলেন ভারতীয় রাগ সঙ্গীতের অন্যতম উস্তাদ। বাংলার অন্যতম সম্পদকে হারিয়ে শোকাহত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকাল ৩ - ৪৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালে গিয়ে শোকপ্রকাশ করে বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞের মৃত্যুর খবর জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত পিয়ারলেস হাসপাতালে রাখা থাকে রশিদ খানের মরদেহ। এরপর সারা রাত ‘পিস ওয়ার্ল্ড’-এ থাকছে উস্তাদের মৃতদেহ। এরপর বুধবার সকালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্রসদনে। দায়িত্বে থাকবেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, রাজ্যের মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল। রবীন্দ্র সদনে গান স্যালুটে বিদায় জানানো হবে রশিদ খানকে। তাঁর মৃত্যু সত্যিই গোটা দেশের কাছে বিরাট ক্ষত। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে অন্যতম নক্ষত্র ছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। গত কয়েক বছর ধরেই প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন। যদিও সময়ের ব্যবধানে আস্তে আস্তে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু গত নভেম্বরে আচমকাই মস্তিষ্ক রক্তক্ষরণ হয়ে অর্থাৎ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি হন গায়ক। ২০২৩ সালের শেষে চিকিৎসকরাই জানান, তাঁদের চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন রশিদ খান। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মঙ্গলবার সকালে আচমকাই আবার তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু হলে শিল্পীকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার দুপুর ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হন উস্তাদ রশিদ খান। রেখে গেলেন দুই কন্যা এবং এক পুত্রকে। মঙ্গলবার হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘রশিদ আমার ভাইয়ের মতো। সে আমাকে ‘মা’ বলে সম্মান করত। শেষে আমি তাঁকে জোর করি গান শুরু করার। ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে জন্ম রশিদের। তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। যার প্রতিষ্ঠাতা ইনায়েত হুসেন খাঁ। রশিদ তালিম নেন তার দাদু উস্তাদ নিসার হুসেন খাঁর থেকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct